‘বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন’
- মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর
- ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৮
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেছেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজগুলো চলমান রয়েছে। আশা করি নির্ধারিত সময়ের আগেই সেগুলো সম্পন্ন হবে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি যারা আছেন তারাই করে থাকেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি। একসময় তারা নিজেরাই সবকিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরুব্বি যারা আছেন তাদের সাথে পরামর্শ করে আমরা তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন ইজতেমাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জমায়েত বলা হয়ে থাকে। দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মুসল্লি এখানে উপস্থিত হয়। এজন্য তাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। টয়লেট, স্বাস্থ্য, খাবার ও ওজুর পানিসহ এসব বিষয়গুলোতে আমরা তাদেরকে সাপোর্ট দেই। যেহেতু কম সময়ে জরুরিভাবে এটা করতে হয়। এই সাপোর্টটা তাদের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন দফতর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্য যারা আছেন তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে সহযোগিতা করেন।
তিনি আরো বলেন, ইজতেমা কর্তৃপক্ষের ডিমান্ড ছিল চটের পরিবর্তে টিনের। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে ও ইজতেমা শেষে ফিরে যেতে পারেন সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে অবৈধ উচ্ছেদের কিছু বিষয় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক আগামী রোববার থেকেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। তবে আমি অনুরোধ জানাবো উচ্ছেদ অভিযানের আগে শনিবারের মধ্যে যেন বিভিন্ন দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হয়।
পরিদর্শনের সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিনসহ জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।