১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হচ্ছে শনিবার

কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। দেশীয় সংস্কৃতির উজ্জীবন ও প্রসারে সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিবছর এ মেলার আয়োজন করে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এবারের মেলার প্রধান অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ-সার্কেল আসিফ ইমাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন, সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত রাশেদুল ইসলাম খাঁন, ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একে এম আজাদ সরকার প্রমুখ।

এ সময় ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, বিএনপি, জামায়াত, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় মেলা চলাকালীন ওই এলাকার যানজট, আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও খাদ্যের মূল্য তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। মেলা আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনে আয়োজিত মাসব্যাপী এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী, লোকজ প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়স্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলা, কর্মরত কারুশিল্পীর কারু পণ্যের প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ৩২টি স্টলসহ ১০০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬৪ জন কারুশিল্পী সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। সোনারগাঁওয়ের জামদানি, মৌলভীবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, মাগুরা ও ঝিনাইদহের শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাঁড়ি ও মৃৎশিল্প, কক্সবাজারের শাঁখা ঝিনুক শিল্প, রংপুরের শতরঞ্জি, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, কাঠের চিত্রিত হাতি-ঘোড়া-পুতুল, কুমিল্লার খাদিশিল্প, তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুশিল্প, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, বগুড়ার লোকজ খেলনা ও বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন কারুশিল্পীরা মেলা অংশ নেন।

মেলায় প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে লোক সংগীত শিল্পীদের পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালী, হাসনরাজা, লালন, শাহ আব্দুল করিম, রাধারমণের গান, গম্ভীরা, আলকাপ, পুথিপাঠ, উকিলমুন্সী, পালাগান, ও মাইজভান্ডারীসহ বিভিন্ন ধারার লোকগীতি পরিবেশন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement