১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

শাটডাউনে অচল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় - ছবি : সংগৃহীত

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শাটডাউনে অচল অবস্থা তৈরি হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। বন্ধ ছিল সকল বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা। তবে সকল দফতরের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু ছিল।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এর আগে সোমবার রাতেই শিক্ষার্থীরা শাটডাউনের ঘোষণা দেয়।

আগামীকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় দাবি পূরণের বিষয়ে আশানুরূপ সিদ্ধান্ত না এলেও ফের টানা শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিবেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সোমবার রাতে মন্ত্রণালয়ের দাবি মেনে নেয়ার লিখিত অঙ্গীকারে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বুধবারে আলোচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত শাটডাউন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন অনশনকারী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব।

বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায় গতকাল শাটডাউনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে কোনো বিভাগেই ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়নি। দফতরগুলো খোলা থাকলেও সীমিত কার্যক্রম দেখা গেছে। শহিদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের মেইন গেটে তালা লাগিয়ে শাটডাউন লেখা ব্যানার সাঁটানো ছিল। তবে খোলা ছিল পকেট গেট। পকেট গেট দিয়ে ছাত্রকল্যাণ দফতরে গিয়ে কথা হয় কম্পিউটার কাম অপারেটর হাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। সীমিত আকারে চলমান রয়েছে কার্যক্রম। এর মাঝেও যারা আসছে তাদেরকে সেবা দিচ্ছি। বিভিন্ন দফতরের চিঠি চালাচালি হচ্ছে।

শাটডাউনের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের আনতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন রুটে নিয়মানুযায়ী বাস ছেড়ে যায় বলে জানান পরিবহণ দফতরের ডেপুটি রেজিস্টার মনসুর আলম।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: শেখ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘কমপ্লিট শাটডাউনের মধ্যেও এ কাজ চলমান রয়েছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে কোনো ফাইল পেন্ডিংয়ে থাকে না। সিটিজেন চার্টার সময় অনুযায়ী আবেদনের এক সপ্তাহের মধ্যে সার্টিফিকেট, মার্কেটসহ সকল সেবা সম্পন্ন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিগুলো হল সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি স্বাক্ষর করা, পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে, যতদিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে গত রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৪ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হন। উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও অনশন ভাঙেনি শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার বিকাল পাঁচটায় সচিবালয়ের অবস্থান নেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। মন্ত্রণালয়ের যথাযথ আশ্বাসে এদিন টানা ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।


আরো সংবাদ



premium cement