কারখানা খোলার দাবিতে ৩ ঘণ্টা পর মানববন্ধন শেষ
- তুহিন আহামেদ, আশুলিয়া (ঢাকা)
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৪৪, আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৬
ব্যাংকিং সুবিধাসহ বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সকল কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ১৫ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধন করেছে। তিন ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন শেষ করে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে আশুলিয়ার নবীনগর থেকে বাড়ইপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তারা শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধন কর্মসূচি দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত পালন করেন। পরে তারা শ্রীপুরস্থ সানসিটি মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু করে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শ্রমিকরা জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার কারণে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবার দূর্বিষহ জীবনযাপন করছে। তাই তাদের দাবি বন্ধ হওয়া সকল কারখানা খুলে দেয়া, ব্যাংকিং সুবিধাসহ নানা দাবি জানিয়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
এছাড়া শ্রমিকরা আরো জানায়, তাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানান।
দাবিগুলো হলো আমদানী-রফতানি ও কোম্পানি সচল রাখতে এলসি সুবিধা প্রদান, অতিসত্তর লে অফ তুলে কোম্পানির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক করা এবং সকল বকেয়া বেতন অতিসত্তর পরিশোধ করা।
বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের (বিজিডি) সহকারী ব্যবস্থাপক আলিম উদ্দিন জানান, বেক্সিমকোর সকল কারখানা খুলে দেয়ার জন্যই আজকের এই মানববন্ধন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সকল কারখানা খুলে দেয়া এবং সকল এলসির ব্যবস্থা করা এবং ক্রয়াদেশ পেতে যা যা করা দরকার তার দাবি জানান।
এ সকল দাবি না মানা হলে আমরা আবার আগামী শনিবার কর্মসূচিতে যাবো বলেও জানান তিনি।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু জানান, সরকারের উচিত হবে শ্রমিকদের সাথে আলাপ আলোচনা করে শ্রমিকদের স্বার্থে একটা সুষ্ঠু সমাধান বের করা। যাতে করে এই শ্রমিকদের সড়কে নামতে না হয় এবং এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কোনো তৃতীয় পক্ষ যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সে দিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাজীপুর অঞ্চল) আবু হাসান মিয়া জানান, বেক্সিমকোর শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে মহাসড়কের পাশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছে। রাস্তাঘাটের যানবাহন চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা