সিলেটে ডাকাতি মামলায় ৭ জনের দণ্ড

জকিগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় করা মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। অত্র আদালতের বেঞ্চ সহকারী সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। মামলায় মোট ১০ আসামির তিনজন খালাস পেয়েছেন।

রায়ে দণ্ডিতরা হলেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার খাশিরচক গ্রামের মরহুম শুকুর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫), একই উপজেলার মাতারগ্রামের ফারুক আলী ওরফে ফররুখ আলীর ছেলে শিপার আহমদ (৩০), খাসিরচক গ্রামের মরহুম কামাল আহমদের ছেলে রুবেল আহমদ (২৮), সাহাব উদ্দিনের ছেলে রাসেল আহমদ (২০), বারঠাকুরী গ্রামের মরহুম আব্দুস শুকুরের ছেলে আব্দুস শহীদ (৩০), খাসিরচক গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে শাহাব উদ্দিন (৫০), বারঠাকুরী গ্রামের মো: আব্দুল বারী ওরফে বরই মিয়ার ছেলে আজির উদ্দিন (৩০)। দণ্ডিতদের মধ্যে কেবল আজির উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। বাকীর জেলে রয়েছেন।

খালাসপ্রাপ্ত তিনজন হলেন জকিগঞ্জ উপজেলার চারিগ্রাম চানপুরের মরহুম ফয়জুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন সেলিম (৩৫), বারঠাকুরী গ্রামের মরহুম আমজাদ মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫) ও মরহুম আব্দুল খালিকের ছেলে নজরুল ইসলাম নজমুল (৩৪)।

মামলার বরাত দিয়ে আদাত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বারঠাকুরী গ্রামের দুবাই প্রবাসী আব্দুল জব্বারের বাড়িতে ডাকাতি করা হয়। সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে বাধ্য করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নেয়। এই ঘটনায় প্রবাসী আব্দুল জব্বারের ছেলে হিফজুর রহমান পরদিন জকিগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ১০/১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা (নং-৪(০১)২০১৪) করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (নং-১৩৯) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর দিলোয়ার হোসেন। মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে স্থানান্তর হলে ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচারকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ শোনানিতে ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ ৩৯৫ ধারায় সাত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আল আসলাম মোমিন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট অশেষ কর।