মুন্সিগঞ্জে অপহরণের ৪০ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
- মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৯
মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায় অপহরণের এক মাস ১০ দিন পর হালিমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর গলিত লাশ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের নির্জন একটি বাগান থেকে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই নারী উপজেলার বাংলাজার ইউনিয়নের ভাষানচর দক্ষিণকান্দি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
গত ৫ ডিসেম্বর হালিমাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গত ১৭ ডিসেম্বর হালিমা বেগমের স্বামী দেলোয়ার হোসেন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সকালে ফুলতলা গ্রামের নির্জন একটি বাগানে একটি গর্ত দেখতে পান স্থানীয়রা। সে গর্ত থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। গর্তের ভেতর থেকে কুকুর একটি সেলোয়ার টেনে বের করে আনে। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। উদ্ধার করা সেলোয়ারটি হালিমা বেগমের বলে শনাক্ত করেছে তার স্বজনরা। যদি লাশটি হালিমার হয়, ধারণা করা হচ্ছে যে দিন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল, সে দিনই তাকে মেরে এখানে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।’
এ দিকে হালিমা বেগম ৫ ডিসেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর নিখোঁজ ডায়েরিটি অপহরণ মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে থানা পুলিশ। মামলার পর দিন সে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শামায়ন নামে ফুলতলা গ্রামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শামায়ন এখনো সেই মামলায় জেলহাজতে রয়েছেন।
নিহতের ছোট ভাই মো: তানজিল জানান, ‘অপহরণের দিন সকালে হালিমা তার মেয়েকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। হালিমা সেখান থেকে ফেরার পথে কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় বোনকে খোঁজাখুঁজি করি। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ৭ ডিসেম্বরে আমরা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। এরপর জানতে পারি, ফুলতলা এলাকার শামায়ন অপহরণ করেছেন। আজকে জানতে পারলাম, আমার বোনকে ফুলতলায় নির্জন স্থানে মেরে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছেন শামায়নরা। আমরা আমার বোনের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা