১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬
`

শ্রীনগর থানা থেকে আসামি ছিনতাই, বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় থানা থেকে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের প্রায় ২০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) শ্রীনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক এ মামলা করেন। এর আগে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো: তারিকুল ইসলামকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর ধাইসার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গেছে, একটি মারামারির ঘটনায় আদালতের নির্দেশে গত ১৯ নভেম্বর তারিকুলের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

তারিকুলকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দলের প্রায় দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীরা থানায় ছুটে আসে। এ সময় তারা তারিকুলকে ছেড়ে দেয়ার জন্য শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীরর উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং বিভিন্নরকম স্লোগান শুরু করে। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে তারা থানার সেকেন্ড অফিসারের কক্ষ ভাঙচুর করে এবং পুলিশকে মারধর করে জিয়ার সৈনিক স্লোগান দিয়ে তরিকুলকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

গতকাল শনিবার শ্রীনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মাসুদ রানা, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইমন, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন, বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন মিলন, জহিরুল ইসলাম মামুনসহ এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৬০ থেকে ১৭০ জনেকে আসামি করে মামলা করা হয়।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার তারিকুলকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই তদবিরসহ বিভিন্নরকম চাপ প্রয়োগ শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা থানায় এসে স্লোগান শুরু করে। এ সময় থানায় উপস্থিত মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহামন তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেন তারিকুল মামলার আসামি তাই তাকে কোনোভাবেই ছেড়ে দেয়ার সুযোগ নেই। পরে তারা থানায় ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের মারধর করে আসামি তারিকুলকে ছিনিয়ে নেয়। তারিকুলসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

অপরদিকে শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান শনিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ‘কোন ব্যক্তি দলীয় পরিচয়ে কোনো অপকর্ম করলে তার দায়ভার শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি বহন করবে না।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল