১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

গজারিয়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মাহমুদা আক্তার (৩৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মাহমুদা আক্তার গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের স্ত্রী বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে মাহমুদার সাথে একই ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইমরানের বিয়ে হয়। নয় বছরের সংসার জীবনে তাদের দু’মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মাহমুদার স্বামী ইমরান সৌদি আরব প্রবাসী। তিনি এক মাসে আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন।

প্রতিবেশী কয়েকজন জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। শুক্রবার সকালে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া এবং মাছ কাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে মাহমুদাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এ সময় তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেয়ের জামাই আমাকে কল দেন। মোবাইলে আমাকে কলে রেখে তিনি আমার মেয়েকে মারধর করতে থাকেন। সকাল ১০টার দিকে দিকে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয়। আমার ধারণা, এ সময় মাহমুদা মারা যায়। বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে তার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলানো হয়েছে। ঘটনার পর মেয়ে জামাই ও তার বড় ভাই কৌশলে পালিয়ে যায়। আমার মেয়েকে হাসপাতালে না নিয়ে তাদের পালিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে তারা আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।’

নিহতের ভাসুর ওয়াসিম বলেন, ‘মেয়েটির রাগ অনেক বেশি ছিল। আমার ছোট ভাই সেটা মেনে নিয়ে সংসার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে আবারো ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর জানালা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই আমরা।’

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ গজারিয়া থানায় রয়েছে। নিহতের গায়ে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’


আরো সংবাদ



premium cement