০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`

বিচারের পরে সংস্কার হবে তারপরে নির্বাচন : সারজিস আলম

বিচারের পরে সংস্কার হবে তারপরে নির্বাচন : সারজিস আলম - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিচারের পরে সংস্কার হবে তারপরে নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে শহরের রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে শুরু হওয়া সমাবেশে এসব কথা বলেন সারজিস।

সারজিস আলম বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মানুষের রক্ত ও জীবনকে বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না তাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বাংলাদেশের মানুষ। এই দেশের মানুষের জীবনের দিকে আর যদি কোন শকুন দৃষ্টি দেয় তাহলে তার চোখ উপড়ে ফেলবো। হোক সে দেশের ভেতরের শক্তি অথবা বাইরের।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের হত্যার বিচার চাই। ঐ শেখ হাসিনা দেশে আসবে, তবে সে দেশে এসে সরাসরি ওই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবে, এসে সরাসরি ওই কাঠগড়া থেকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াবে।’

‘বাংলাদেশের অবশ্যই একটি যৌক্তিক সময় নির্বাচন হবে। তবে তার পূর্বে এই খুনি হাসিনা আমাদের এই দেশের সিস্টেমগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে হবে। আমাদের এই বাংলাদেশ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করেনা। আমরা চোখে চোখ রেখে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করবো বলে জানান সারজিস।

সারজিস বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো বহিঃশক্তি যদি আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের চেষ্টা করে তাহলে আমরা সেই পররাষ্ট্রনীতি ছুঁড়ে ফেলবো। আমরা একটি জুলাই অভ্যূত্থানের ঘোষণাপত্র দিয়েছি। সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জুলাই অভ্যূত্থানের স্বীকৃতি থাকতে হবে। এই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি সংবিধানের লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। সেই ঘোষণাপত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে।’

ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ‘অবিলম্বে 'প্রোক্লেমেশন অফ জুলাই রেভ্যূলিউশন' ঘোষণা সরকারকে দিতেই হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ঠিক সেভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে। আগে বিচার হবে সংস্কার হবে এরপরে নির্বাচন। তার আগে কোনভাবেই নির্বাচন দেয়া যাবে না।

কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সেল সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ছাত্র সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন সোহেল রানা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হাসিব-আল ইসলাম, রিফাত রশীদ, আশরেফা, রাজেন্দ্র কলেজ শাখার প্রধান কাজী রিয়াজ, ফারহান আহসান অর্ণব, নাবিলা তালুকদার, তাহসিন হাসান দ্বীন, মাহমুদুল হাসান ওয়ালিদ, সানজিদা রহমান সমতা, জেবা তাহসিন, শাহ মো: আরাফাত প্রমুখ।

সমাবেশ শুরুর পর মঞ্চ থেকে নেমে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছাত্র আন্দোলনে ফরিদপুরের ৮ জন শহীদ ও আহতদের এসে খোঁজখবর নেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সাজিদ আলমসহ অন্যরা।

ছাত্র সমাবেশ উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সমর্থকরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও প্লাকার্ড নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে যোগ দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement