টিকটক করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৬
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৩, আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় টিকটিক করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। পরে ওই তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ছয় যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা ধর্ষণের অভিযোগে একটি এবং পর্নগ্রাফি আইনে আরো একটি মামলা করেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী গ্রামের আমজাদ খাঁনের ছেলে আকরাম খাঁন (২৫), মধুখালি উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের সাগর মোল্লার ছেলে জুয়েল মোল্লা (৩০), সাইদুল মোল্লা (৩০), মামুন শরীফ (৩২), বাবু মোল্লা (৩০) ও মো: জুয়েল মোল্লাকে (২৪)।
জানা যায়, চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামের আকরাম খাঁন নামে এক যুবক টিকটক ভিডিও করার জন্য ওই তরুণীকে বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ভাঙ্গায় তার গ্রামে নিয়ে যায় আকরাম ও তার সহযোগী জুয়েল। এরপর নির্জন এক বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণীকে প্রথম দফায় ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর সেখান থেকে ওই তরুণীকে বাবলাতলা বাজারের কাছে একটি বিউটি পার্লারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে চুমুরদী ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আনারুদ্দিন মোল্লার ছেলে ছাইদুল মোল্লাসহ পাঁচ থেকে ছয়জন যুবক সন্দেহভাজন আচরণ দেখে তাদের আটকে রাখে।
ভুক্তভোগী তরুণী ও পরিবারের অভিযোগ, গভীর রাতে ছাইদুল ও তার সহযোগীরা ওই তরুণী ও আকরামকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিট করে বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। পরে ভুক্তভোগী ভাঙ্গা থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান জানান, ‘আটকদের মোবাইলে ধারণ করা আপত্তিকর ভিডিওর ফুটেজ জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।’