শীতের উষ্ণ ছোঁয়া পেতে ফুটপাতের দোকানে ভিড়
- মো: হুমায়ূন কবীর, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। জবুথবু হয়ে দিন কাটাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। রাতে হিমেল বাতাস দিনে হিম করা ঠাণ্ডায় উষ্ণতার চাঁদরে থাকার জন্য ছুঁটছেন সকল বিপণিবিতান, হাট-বাজার ও ফুটপাতের দোকানে। এসব দোকানে দেখা মিলছে প্রচুর ব্যস্ততা। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ এমনকি গরম কাপড় কেনার জন্য আসছেন এসব দোকানে মহিলারাও।
গত কয়েক দিন ধরে দেখা গেছে তীব্র শীতে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের বড় বড় দোকানের সাথে পাল্লা দিয়ে গরম কাপড় বেচা-কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলো।
বিভিন্ন এলাকা থেকে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজন মতো শীত নিবারণের জন্য ভিড় জমিয়ে পছন্দমতো গরম কাপড় কিনে বাড়ি ফিরছেন তারা। সাশ্রয়ী দামে গরম কাপড় পেয়ে খুশি হচ্ছেন ক্রেতারাও।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাপ্তাহিক সাটুরিয়া বাজারের হাটে সিএনজি স্ট্যান্ডে সড়কের দুই পাশে ফুটপাতের ১৫ থেকে ২০টি দোকানগুলোতে দেখা গেছে, পুরোনো শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী বিক্রেতারা। এসব দোকানে বাহারি রকমের শীতের পোশাক বিক্রি করছেন তারা।
দোকানিরা বলছেন, এ বছর শীতের পোশাকের মধ্যে ক্রেতাদের নজর জ্যাকেটের দিকে বেশি। ফুটপাতের এসব পোশাকের দোকানে জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে চার শ’ থেকে পাঁচ শ’ টাকায়।
এছাড়াও মানভেদে টাওজার ১২০ থেকে ১৫০, ফুলহাতা গেঞ্জি এক শ’ থেকে ১৫০ টাকা, ব্লেজার পাঁচ শ’ থেকে ছয় শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের জন্য বিক্রি হচ্ছে উলের বিভিন্ন সাইজের জামা।
ফুটপাতে পোশাক কিনতে আসা ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রচুর শীতে ঘরে বসে থেকেও কাঁপুনি ধরছে। তাই পরিবারের জন্য কম্বল, জ্যাকেট নিয়ে নিলাম ৭৬০ টাকায়। মার্কেট থেকে এসব কিনতে গেলে দুই হাজারের নিচে কেনা সম্ভব হতো না। স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা এই ফুটপাতের দোকানগুলোই।’
আরেক ক্রেতা মেহের আলী বলেন, ‘আজ সূর্যের কোনো দেখা নাই অন্যদিকে প্রচুর শীত। নিজেদের জন্য না পারলেও বাচ্চাদের জন্য তো বসে থাকা যায় না। তাই মেয়ের জন্য ২৮০ টাকা দিয়ে একটা সোয়েটার কিনেছি। এবার এতেই শীত পারি দিতে পারবো।’
অস্থায়ী দোকানি পোশাক বিক্রেতা রহিম ও জাফর বলেন, ‘তারা এই পোশাকগুলো সরাসরি ঢাকার বিভিন্ন পুরাতন কাপড়ের মার্কেট থেকে ডোপ হিসেবে ক্রয় করেন। ভালো এবং রেজেক্ট অনেক কাপড় একটি ডোপে থাকে। যেগুলো একটি বেশী দামেও বিক্রি করা যায়। তবে শীতার্থদের জন্য অল্প লাভে বেশি পরিমাণে বিক্রি করি। এতে সবারই লাভ অন্যদিকে ক্রেতারা সারা বছরই আমাদের কাছে আসে।’
বেচা-কেনার ব্যস্ততার ফাঁকে ওই ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছরে ক্রেতাদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে টাউজার, চেন বা বোতাম দেয়া সোয়েটার, জ্যাকেট, ফুল হাতা গেঞ্জি ও ব্লেজার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা