ফতুল্লায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, ভাসুর আটক
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় লামিয়া আক্তার ফিজি (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ভাসুর তোফাজ্জলকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার মনিরুল ইসলাম মনুর বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
গৃহবধূ লামিয়া আক্তার ফিজি ফতুল্লার দেওভোগ বাশমুলী এলাকার মীর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে।
তার পরিবারের দাবি, লামিয়া আক্তার ফিজিকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ জানালার গ্রিলের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
ফিজির বড় ভাই আরাফাত জানান, করোনাকালীন লামিয়া আক্তার ফিজিকে একই থানাধীন লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার মনু মোল্লার ছেলে মুন্না মোল্লার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় মুন্না তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করেন। বিয়ের পর ফিজি জানতে পারেন যে মুন্নার স্ত্রী আছে এবং সে বেকার। এরপর থেকে কারণে-অকারণে ফিজির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন মুন্না। স্বামীর পাশাপাশি তার শাশুড়িও নির্যাতন করতেন। এ নির্যাতনের বিষয় স্থানীয় শালিশ থেকে থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। এর মধ্যে তাদের সংসারে একটি ছেলে হয়, যার বর্তমান বয়স দু’বছর। শালিশ করে ফিজিকে স্বামীর কাছে দিয়ে এলে কয়েকদিন ভালো কাটে, এরপর আবার নির্যাতন শুরু করে।
আরাফাত আরো বলেন, ‘ফিজির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দাগ রয়েছে। মান-সম্মান ও সন্তানের কথা চিন্তা করে ফিজি তার স্বামীকে তালাক না দিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করেছে। শেষ পর্যন্ত বোনটাকে নির্মমভাবে হত্যা করে সপরিবারে পালিয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
ফতুল্লা মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ইমানুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, গৃহবধূর স্বামীসহ তার পরিবারের সকলেই আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় তোফাজ্জল নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা