গাজীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে নিখোঁজের দু’ দিন পর জুনায়েদ হোসেন (১১) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগরীর আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকার নির্মানাধীন একটি ভবনের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে কোনাবাড়ি থানার পুলিশ।

নিহত জুনায়েদ টাঙ্গাইল সদর থানার গোলচক্কর এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে। শিশুটি মা শাহিদা আক্তার ও বড় বোন জান্নাতি আক্তারের সাথে আমবাগ পশ্চিমপাড়ায় ভাড়া থাকতো।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসা থেকে বের হয় শিশু জুনায়েদ। এরপর আর বাসায় ফিরে আসেনি সে। পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়-স্বজনের বাসাসহ আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পর দিন মঙ্গলবার জুনায়েদের সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বুধবার সকালে আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় নির্মানাধীন একটি ভবনের পাশের গলিতে শিশুর লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে স্বজনরা জুনায়েদের লাশ শনাক্ত করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের নানি সুরাতন নেছা বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে জুনায়েদের বাবা দুলাল হোসেনের সাথে শাহিদা আক্তারের বিয়ে হয়। দু’ বছর আগে স্ত্রী শাহিদাকে ডিভোর্স দিয়ে বিদেশে চলে যান দুলাল। মেয়ে জান্নাতি (১৮) ও ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে গাজীপুরে এসে সামান্য বেতনে গার্মেন্টে চাকরি নেন শাহিদা আক্তার ও মেয়ে জান্নাতি। অনেক কষ্টে চলতো তাদের সংসার। তাদের কারো সাথে শত্রুতা ছিল না। কেন কারা তাকে হত্যা করেছে বুঝতে পারছেন না।’

বড় বোন জান্নাতি বলেন, ‘গত সোমবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি তার ভাই। অনেক খুঁজে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেছেন। বুধবার সকালে তিনি ও তার মা কর্মস্থল ছিলেন। সকাল ১১ টার দিকে খবর পান ভাইয়ের লাশ পাওয়া গেছে। জুনায়েদ পড়াশোনা করতো না। তিনি ভাই হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার এসআই হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’