০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের শ্রমিক বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের শ্রমিক বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ - ছবি : নয়া দিগন্ত

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কেয়া গ্রুপের দুটি কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও কাশিমপুর-কোনাবাড়ি সড়ক অবরোধ করে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার জরুন এলাকাস্থিত কেয়া গ্রুপের কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড (নীট কম্পোজিট ডিভিশন, স্পিনিং ডিভিশন, কটন ডিভিশন) ও কেয়া ইয়ার্ণ মিলস্ লিমিটেডের শ্রমিকরা গত নভেম্বর মাসের বেতন ও হাজিরা বোনাসসহ ভাতাদি পাওনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিকবার আশ্বাস দিয়েও শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করেনি। এতে শ্রমিকদের মাঝে অসোন্তাষ ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা তাদের পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করে আসছে। শ্রমিক অসন্তোষের মুখে ওই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রোববার দিবাগত রাতে গেটে নোটিশ টানিয়ে দেয়।

এদিকে সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে ওই নোটিশ দেখতে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় তারা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কাশিমপুর-কোনাবাড়ি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিকেল পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে তারা ৪টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের সড়কের উপর থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের দাবিতে অনঢ় থাকে। পরে শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে মালিকপক্ষ ১২ জানুয়ারি বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা প্রায় একঘণ্টা পর মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয়।

কারখানার মালিকপক্ষ জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর কারখানার অভ্যন্তরে কিছু সংখ্যক উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক আকস্মিকভাবে অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করেন। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজে যোগদানের জন্য বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে উৎপাদন ফ্লোর থেকে কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে যান এবং কারখানার অন্য ইউনিটের কাজ বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানার জান ও মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানার সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবিতে কেয়া গ্রুপের শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধের অনুরোধ জানানো হয়। মালিকপক্ষ আগামী মাসের ১২ তারিখ বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। পরে শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হলে তারা বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেয়ে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়।’


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিকে আর কোনো ষড়যন্ত্রে বিপর্যস্ত হতে দেব না : আযম খান ২০২৪ সালে টাকার মূল্য কমেছে ১২.৭২ শতাংশ কুমিল্লায় বিবির বাজার সীমান্ত থেকে লাশ উদ্ধার পানিতে ডুবে মুসলিম বালকের মৃত্যুর ভিডিও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত না হওয়ায় হত্যা দাবিতে প্রচার ২৫ বছরের জন্য এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাথরঘাটায় যুবদল নেতাকে হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করায় নিন্দা চট্টগ্রামে ডিসি পার্কে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ফুল উৎসব শিক্ষকতাকে প্রথম শ্রেণীর পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে : সমন্বয়ক হাসনাত আ’লীগ নেতা বলরাম পোদ্দারকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ গাজীপুরে কেয়া গ্রুপের চার কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা

সকল