২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শিবচরে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে মাদারীপুরের শিবচর এলাকায় সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সাথে হাড় কাঁপানো শীতে শিবচরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা ওঠা-নামার সাথে সাথে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

শনিবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্যের কোনো দেখা মেলেনি। এতে গরম কাপড়ের অভাবে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী বেষ্টিত নদ-নদীর চরসহ শিবচর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে হাড় কাঁপানো শীতের কারণে গরম কাপড়, রুম হিটার, ওয়াটার হিটার, গরম পাত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। এছাড়াও শিবচর উপজেলার এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশার কারণে রাত ও ভোরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গৃহহীন দরিদ্র মানুষদের।

বন্দরখোলা এলাকার ভ্যানচালক ইদ্রিস জানান, ‘তিন দিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাব থাকলেও পেটের দায়ে ভ্যান নিয়ে বের হলেও যাত্রী পাচ্ছি না। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এমন কয়েকদিন চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।’

কাওড়াকান্দি ঘাট যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা নৌ-যানশ্রমিক জামাল উদ্দিন জানান, শীতে নদীতে নৌ-যান চালাতে খুব কষ্ট হয়, তারপর আবার বাতাসও হচ্ছে। যাত্রী নেই তাই নদীর পাড়ে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করছি।’

শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট আতিকুজ্জামান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে কোনো কিছুই ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। তাই এক্সপ্রেসওয়ের গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে অত্যন্ত শ্লথগতিতে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা মহাসড়কের একাধিক পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের শীতবস্ত্র ক্রয়ের বরাদ্দ এসেছে। খুব শিগগিরই শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র সরবরাহ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement