‘শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও কর্মঠ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে’
- আমান উল্লাহ পাটওয়ারী, সাভার (ঢাকা)
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২৮
শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও কর্মঠ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ‘একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের যোগ্য করে তুলতে সহায়তা করবে।’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সাভার মডেল কলেজে পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পিঠা উৎসব আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হতো পিঠা উৎসব। তবে আধুনিকতার ছোঁয়া আর নগরায়নের ফলে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। আর বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে নবান্ন উৎসব অন্যতম। বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ঢাকার সাভার মডেল কলেজে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী চলে পিঠা খাওয়ার ধুম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রকমের পিঠার পসরা নিয়ে পৃথকভাবে বিভিন্ন স্টল সাজান কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। স্টলগুলোতে পাটি সাপটা,সুজি পাউরুটি,মালাই কেক,নারিকেলের পুলিপিঠা, পুডিং, ব্রেড রোল, নকশি পিঠা, ফুল কলি পিঠা, লাভ সুন্দুরী পিঠা, কলস পিঠা, কুমড়া পিঠা, সুজির রস পিঠা, তেলের পিঠা, পাটিশাপটা পিঠা, চিংড়ি পিঠা, সেমাই পিঠা, গোলাপ পিঠা, করলা পিঠা, ভেজিটেবল পিঠা, নকশি পিঠা, শিউলি ফুলের চিতই পিঠা, তালের পিঠা, ফুলঝুড়ি পিঠা, চিকেনপুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, রঙ্গিলা পাটি শাপটা পিঠা, মাংস পিঠা, শামুক পিঠা, দুধ পুলি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, নারকেল সুন্দুরী পিঠা, মুগপাকন পিঠা, আতা ফল পিঠা, গোলাপ পিঠা, ঝাল পিঠা, পদ্ম সেমাই পিঠা, জামাই পিঠাসহ নাম না জানা অসংখ্য পিঠাপুলির আয়োজন ছিল।
এছাড়া কেক পুড়িং, মালাই কেক,পেস্টি কেক, মিষ্টি কেক, কাপ কেক, চকলেট কেক, অরেঞ্জ ফ্লেবার কেক ও ম্যাংগোসহ বিভিন্ন ধরনের কেকও তৈরি করে পিঠা উৎসবে নিয়ে আসা হয়। স্টলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ পিঠা-পুলির স্থান পায়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘পিঠা শুধু খাবার নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে।’
পিঠা উৎসব নিয়ে সাভার মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মো: তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের আবহমান ঐতিহ্য নিয়ে গৌরববোধ করি। আজ পৌষ মাসের এক তারিখ, পৌষ মাসের পিঠা পার্বনের যে উৎসব, আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য, সে ঐতিহ্যকে যদি আমরা বেশী করে ধারন করতে পারি তাহলে আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব।’
এ সময় পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন সাভার মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মো: তৌহিদ হোসেনসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সাথে নিয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: ইলিয়াস মোল্লা, অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, হাসান মাহবুব মাস্টার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা