৫৩ বছরেও প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রতিফলন ঘটেনি : ড. ইরান
- তুহিন আহামেদ, আশুলিয়া (ঢাকা)
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২৫
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বিগত ৫৩ বছরে অনেক প্রত্যাশা ছিল জনগণের, সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের প্রতিফলন ঘটেনি।’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে, তারাই ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাটসহ জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি উন্নয়নও যে হয়নি তাও বলা যাবে না, তবে উন্নয়ন করতে গিয়েই তারা লুটপাটের পরিমাণ অনেক বেশি করেছে। বিশেষ করে বিগত ১৭টি বছর ছিল লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থপাচারের একটা স্বর্ণযুগ। এই সময়ে বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। যার কারণে দেশের মানুষ ফুসে উঠেছিল। গণতন্ত্রহীনতা, ভোটারহীনতা এবং মানুষের ন্যায়বিচার থেকে দূরে রাখার কারণে, মানবাধিকারকে পদদলিত করার কারণে মানুষ ফুসে উঠেছিল।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতাকে সামনে রেখে বিগত ৫ আগস্ট একটা গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছে। এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সরকারের কাছে কিন্তু মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আমরা চাই যে এমন একটা সুন্দর বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের যে চারটা মূলনীতি সাম্য, সুবিচার, মানবিক মর্যাদার যে বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশটাই আমরা চাই।’
ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে সামনে রেখেই কিন্তু আন্দোলনটা হয়েছে এবং এদেশের মানুষ বৈষম্যের শিকার। পাকিস্তানের হাত থেকে বৈষম্যের কারণেই কিন্তু আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আমরা পরবর্তীতে আবার দিল্লির দাসত্বে বন্ধী হয়েছি। ভারতীয় আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ যে চুক্তিগুলো করেছে, যে সমঝোতাগুলো করেছে, এগুলো দেশের স্বার্থে করেনি, এগুলো জাতীয় স্বার্থে করেনি। তাদের কাছে দেশের চেয়ে ক্ষমতা বড় ছিল। শেখ হাসিনা ভারতকে তুষ্ট করে তার অবৈধ ক্ষমতাকে তিনি দীর্ঘায়িত করেছেন। যেটা এদেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল না। এ জন্যই কিন্তু শেখ হাসিনাকে ৪৫ মিনিটে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন, আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন এটা তাদের জন্য একটা বড় ম্যাসেজ, ভালো একটা বার্তা। তারা যেন ক্ষমতার চেয়ারে বসে নিজেদেরকে সমস্ত ক্ষমতার মালিক মনে না করেন। সর্বময় ক্ষমতার মালিক যেন না করেন। কারণ এদেশের জনগণ হাসিনাকে যেমন ৪৫ মিনিটে দেশ ছাড়া করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ নয় মাসে হয়েছে। ধনী-গরিবের যে ব্যবধান আজকে ক্রমশঃ বাড়ছে, এটা কিন্তু ভয়াবহ একটা বিষয়। ৫ তারিখে একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এটাই যে একটা শেষ গণঅভ্যুত্থান তা বলা যাবে না।’
এ সময় লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভাইচ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুইসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা