সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের জামিন নামঞ্জুর
- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৬
টাঙ্গাইলে ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র ও সমন্বয়ক ইমন হত্যা মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর আমলী আদালতের বিচারক সোহেল ম্রং তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে আনা হলেও তাকে জামিন শুনানির সময় এজলাস কক্ষে তোলা হয়নি। আদালত ভবনের নিচ থেকে তাকে কারাগারে নেয়ার সময় উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা প্রিজনভ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ছাত্রদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন তারা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। যে পুলিশ সদস্য লাঠিচার্জ করেছে তাকে দ্রুততম সময়ে বরখাস্তের দাবি জানান ছাত্ররা। না হয় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ সময় প্রিজনভ্যানে থাকা আব্দুর রাজ্জাককে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন কেউ কেউ। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, ‘টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কলেজছাত্র ও সমন্বয়ক ইমন হত্যা মামলার তারিখ ছিল বুধবার। বিকেলে এ মামলার প্রধান আসামি ড. আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে আনা হয়। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে এজলাস কক্ষে হাজির করা হয়নি। তার অনুপস্থিতিতেই আদালতে জামিন শুনানি হয়। তার পক্ষে টাঙ্গাইল বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামীমুল আক্তার জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল ম্রং জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, ‘কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে ড. আব্দুর রাজ্জাককে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের সামনে আনা হয়। আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে আনা হচ্ছে এমন খবরে আগে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা আদালত ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।’
টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে আনা হলেও তাকে প্রিজনভ্যান থেকেই নামানো হয়নি। আমরা তখন শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলাম। একপর্যায়ে তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি ঘুরিয়ে চলে যেতে চাইলে আমরা দৌঁড়ে গাড়ির সামনে গিয়ে তার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকি। তখন একজন পুলিশ সদস্য আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ওই পুলিশ সদস্যকে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা আখ্যা দিয়ে অনতিবিলম্বে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দাবি জানান তিনি। এ সময় অন্য সমন্বয়করাও একই দাবি জানান।
এ ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চাইলে কেউ মিডিয়ার সামনে কথা বলেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা