১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাৎসরিক আশুলিয়ায় ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি

ছুটির ঘোষণা ১২ কারখানার
বাৎসরিক আশুলিয়ায় ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি - ছবি : সংগৃহীত

বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কর্মবিরতি পালন করছে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় অন্তত ১২টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পর্যায়ক্রমে এসব কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

হামীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপ, মেডলার, নেক্সট কালেকশন, আল মুসলিম, সেতারা গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নাসা ও ট্রাউজার লাইন পোশাক কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বান্ডো ডিজাইন কারখানাও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

আরো জানা গেছে, হামীম ও নিট এশিয়ার শ্রমিকেরা এরই মধ্যে কারখানা থেকে বেরিয়ে গেছে। নিউ এজ, ডেকো, আল মুসলিম, এথিকালসহ আরো কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করছেন।

শিল্প পুলিশ জানায়, শ্রমিকেরা বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা করছেন না। তবে বর্ধিত বেতনে তারা সন্তুষ্ট নন। তাদের ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের দাবি। তাই কাজ বন্ধ রেখেছেন তারা। অনেক শ্রমিক আবার কারখানা থেকে বের হয়ে গেছেন।

এছাড়া কাজ বন্ধ করে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করায় গতকালের ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে আরো কিছু কারখানা। যদিও এখন পর্যন্ত বন্ধ থাকা এ কারখানাগুলোর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে গতকাল মঙ্গলবার শ্রমিকদের কর্মবিরতির মুখে আশুলিয়ার অন্তত ১০টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দ বেপারী বিন্দু বলেন, সম্প্রতি ৪ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করেছে সরকার। বছরের শুরুতেই এই ইনক্রিমেন্ট পাবে বলে জানা গেছে। সেজন্য শ্রমিকদের উচিত হবে কলের চাকা সচল রাখা এবং তৃতীয় পক্ষ কারো ফাঁদে পা না দেয়া এবং দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করে উৎপাদন অব্যাহত রেখে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। যদি কোনো শ্রমিক উস্কানির ফাঁদে পা দেন, তাহলে সেই দায়িত্ব তার নিজেরই নিতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের শিল্প বাঁচাতে, দেশের শ্রমিক বাঁচাতে এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য তৃতীয় পক্ষ কারো প্ররোচনায় না পড়ে শ্রমিকরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন বলে শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

শিল্প পুলিশ-১-এর পরিচালক মো: মমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, শ্রমিকেরা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন করায় অন্তত ১২টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকেরা মূলত বর্ধিত বেতনে সন্তুষ্ট নন, তাই তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছেন।

তবে কোনো অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement