১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সাভারে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারীসহ আহত অর্ধশতাধিক

সাভারে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারীসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে - ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার সাভারে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-পুরুষসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

বুধবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার মনিরুজ্জামান মনির নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পৌর এলাকার রেডিও কলোনি, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, গেন্ডা স্ট্যান্ড ও থানা স্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে হাসপাতালে কোনো বেকসিন না থাকায় ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

সরেজমিনে আহতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একটি বড় কালো রঙের পাগলা কুকুর রেডিও কলোনি থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা ও আনন্দপুর পর্যন্ত পায়ে হাটা ও রিকশায় যাকে যেখানে পেয়েছেন তাকেই হাতে-মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ানো শুরু করে। এতে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়। আহতের বেশিভাগ সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপারেশন সংক্রান্ত ও গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও মহাখালীর সংক্রমন ব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভোগী এক নারীর বরাত দিয়ে এক যুবক জানান, সরকারি হাসপাতালে ফ্রি বেকসিন দেয়ার কথা থাকলেও এক নারী চাউল কেনার জন্য ১৫০০ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হলে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর কোলের শিশুটি কান্না করছেন। তিনি অত্যন্ত গরীব, এখন তিনি চাউল কিনবেন না বেকসিন কিনবেন? তিনি বাইরের দোকান থেকে বেকসিন কিনেছেন।

যুবকটি আরো জানান, আমরা যারা বিত্তশালী তারা হয়তো কিনলাম। কিন্তু যারা এ নারীর মতো গরীব তাদের কি হবে?

কুকুরের কামড়ে আহত শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি আনন্দপুর ভার্কের সামনে এসেছিলাম। হঠাৎ করে একটি কুকুর আমার হাতে কামড়ে ধরে রাখে। পরে কুকুরটিকে কয়েকজন পথচারী আঘাত করলে কুকুরটি আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি।’

অন্যদিকে লাভলু মিয়া নামে আহত আরেকজন বলেন, ‘একটি পাগলা কুকুর রেডিও কলোনি থেকে মানুষকে কামড়ানো শুরু করে।’

সাভার উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে খাগড়াছড়ি বদলি হওয়া পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সায়েমুল হুদা নয়া দিগন্তকে বলেন, গত প্রায় এক বছর থেকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো বেকসিন নেই। সেজন্য আমরা কাউকে বেকসিন দিতে পারিনি।’


আরো সংবাদ



premium cement