আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো জোড় ইজতেমা, ৪ মুসল্লির মৃত্যু
- মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৬
গাজীপুরের টঙ্গীতে জুবায়েরপন্থীদের পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এবারের এ জোড় ইজতেমায় চারজন মুসল্লি মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে শুরু হয়ে এ মোনাজাত ৯টা ২০ মিনিটে শেষ হয়।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন শূরা-ই-নেজামের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
মোনাজাতে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য, দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি, দেশের কল্যাণ, আত্মশুদ্ধি ও গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বিপদ থেকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
যেসব মুসল্লি আল্লাহর রাস্তায় তাবলীগে বের হবেন তাদের জন্য ফজর থেকে হেদায়াতি ও দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। তার বক্তব্য তরজমা করেছেন মাওলানা আব্দুল মতিন।
নসিহতমূলক বক্তব্য রাখেন ভারতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। তার বক্তব্য তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের। নসিহতমূলক বক্তব্য শেষ হলেই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
মৃত মুসুল্লিরা হলেন রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বৌরাগীপাড়া গ্রামের মরহুম মকবুল হোসেনের ছেলে হায়দার আলী (৩৫), দিনাজপুর সদর থানার মস্তপুর গ্রামের মরহুম গোলাম মোস্তফার ছেলে কাউসার আলী (২৮) এবং সিরাজগঞ্জ সদর থানার শহিদুল ইসলাম (৬৫)।
মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘রোববার দুপুরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে হায়দার আলীকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাউসার আলী নামে আরো একজন মারা গেছেন। ইজতেমার চতুর্থ দিনে আমল করার সময় শহিদুল ইসলাম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তার ছেলের মাধ্যমে আশুলিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান। সোমবার ফজরের পর ইজতেমা মাঠে তার জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার। আসরের পর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার দুলালী গ্রামের আব্দুল হামিদ মাতাব্বের ছেলে আব্দুল হাকিম আকন্দ (৭২) ইজতেমায় মারা যান। ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে এবারের জোড় ইজতেমায় চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।’
অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড় ইজতেমা উপলক্ষে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি জোড় ইজতেমার স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৎপর ছিল, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। ইজতেমার শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর জুবায়েরপন্থীদের পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা দেশ-বিদেশে দ্বীনের দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে পড়বেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা