০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘পোস্ট হারভেস্ট লস কমালেই মসলার ঘাটতি কমে যাবে’

মসলা ফসলের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণন বিষয়ে স্টেকহোল্ডার প্রশিক্ষণ কর্মশালা - ছবি : নয়া দিগন্ত

পোস্ট হারভেস্ট লস কমালেই মসলার ঘাটতি কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) মসলা ফসলের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণন বিষয়ে স্টেকহোল্ডার প্রশিক্ষণ কর্মশালার বক্তারা। তারা বলেন, এসব মসলা জাতীয় ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ করে তা বাজারজাত করার ব্যবস্থা করতে হবে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ‘মসলা আমাদের দেশের উচ্চমূল্যের ফসল। আমাদের প্রধান অনেক মসলা জাতীয় ফসল প্রতি বছর পোস্ট হারভেস্ট লস হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।’

কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে কর্মশালাটি বাস্তবায়ন করেছে বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রের পোস্ট হারভেস্ট বিভাগ। ওই বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: জুলফিকার হায়দার প্রধানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ এবং যোগাযোগ উইং) ড. মো: আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মো: আক্কাস আলী, সিনিয়র স্পেশালিস্ট ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মাজহারুল আনোয়ার, পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: হাফিজুল হক খান প্রমুখ।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান মসলা ফসলের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিপণনের গুরুত্ব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বারি-এর পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী ও মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মাসুদ আলম।

কর্মশালায় বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণ উদ্যোক্তারা অংশ নিয়ে হাতে-কলমে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর প্রশিক্ষণ নেন।


আরো সংবাদ



premium cement