২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ডিইপিজেডের লেনি ফ্যাশন

আশুলিয়ায় ১৩ ঘণ্টা পার হলেও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ছাড়েনি শ্রমিকরা

নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিকরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

আশুলিয়ায় ১৩ ঘণ্টা পার হলেও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ছাড়েনি শ্রমিকরা। চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া লেনি ফ্যাশন লিমিটেডের লেনি অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ডিইপিজেডের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিকরা। রাত সোয়া ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রমিকরা মহাসড়ক দখলে রেখেছে।

এ ঘটনায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

শ্রমিকরা জানায়, ‘প্রায় চার বছর আগে করোনার দোহাই দিয়ে ২০২০ সালে লেনি ফ্যাশন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানা লে-আউট ঘোষণা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকদের পাওনা ওই বছরের জানুয়ারি মাসের বেতন এবং সার্ভিস বেনিফিট না দিয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অযুহাত দেয়া শুরু করে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে বার বার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু বিগত চার বছরেও তা পরিশোধ করা হয়নি। সর্বশেষ চলতি মাসের ৩০ নভেম্বর শ্রমিকদের সকল পাওনাধি পরিশোধের দিন ঠিক করে বেপজা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি কিংবা নোটিশ আকারে এখনো দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই বকেয়া বেতন, সার্ভিস বেনিফিট পরিশোধের দাবি জানিয়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। ‌

এদিকে দুপুর ২টার দিকে বেপজার নির্বাহী পরিচালক প্রধান ফটকের সামনে এসে শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি সকল পাওনাধি আগামী দু’মাসের মধ্যে কারখানা বিক্রি করে পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু শ্রমিকরা তার কথা প্রত্যাখ্যান করে মহাসড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া পুলিশ ও আনসারদের সাথে রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০২১ সালে সংকটের মুখে বন্ধ হয়ে যায় ডিইপিজেডএর কারখানা লেনি ফ্যাশন ও লেনি অ্যাপারেলস। বন্ধ হয়ে গেলেও কারখানাটির শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিটসহ বিভিন্ন পাওনা এখনো বকেয়া রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement