রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
- রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২৩
রাজবাড়ীতে স্ত্রী বিউটি বেগমকে (৩০) হত্যার দায়ে স্বামী লতিফ কাজীকে (৩৯) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দ সিরাজ জিন্নাত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড হওয়া লতিফ কাজী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা গ্রামের মতিয়ার কাজীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাংসারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে লতিফ কাজী তার স্ত্রী বিউটিকে প্রায়ই মারধর করতেন। ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে বিউটি ও লতিফ তাদের ছেলে মুসাকে নিয়ে ঘরের এক রুমে শুয়ে পড়ে। আর মেয়ে মিম পাশের রুমে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এ সময় বিউটি ও লতিফের মধ্যে সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এ ঝগড়ার জের ধরে রাত আড়াইটার দিকে লতিফ স্ত্রী বিউটির বুকের ওপর উঠে বসে ধারালো ছুরি দিয়ে তার মাথায় কোপাতে থাকে। বিউটি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের দু’টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাম হাতের কব্জির ওপর থেকে কনুই পর্যন্ত গুরুতর জখম হয়। এ সময় বিউটির চিৎকারে পাশের রুম থেকে তার মেয়ে মিম দৌড়ে এসে এ দৃশ্য দেখে লতিফকে বলে ‘বাবা তুমি আমার মাকে মেরো না’। মেয়ের কথা না শুনে লতিফ মেয়ের সামনেই তার স্ত্রীর মাথায়, কপালে ও গলায় কুপিয়ে হত্যা করেন। মেয়ে মিম ঠেকাতে গেলে লতিফের ছুরির আঘাতে মিমের ডান হাতের তালুতে কেটে গুরুতর জখম হয়। এ সময় মিম চিৎকার করলে লতিফ দৌড়ে পালিয়ে যান।’
এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি বিউটি বেগমের বাবা বিল্লাল মোল্লা লতিফ কাজীর নামে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আসামি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আবার তাদের মেয়ে মিম এ মামলায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। ফলে আজ আদালত যে রায় দিয়েছেন আমরা অনেক খুশি। বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা