ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু
- এ টি এম ফরহাদ নান্নু, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
- ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২৬
ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর রেলষ্টেশন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশনে এসে পৌঁছায় ট্রেনটি।
এ সময় বিভিন্ন কর্মকর্তা ও উৎসুক জনতা স্বাগত জানায়। পরে ট্রেনটি ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
আগামী ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর প্রতিদিন তিনটি ট্রেন ঢাকা থেকে খুলনায় চলাচল করবে। ঢাকা থেকে খুলনা পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘণ্টা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীদের চাপ বিবেচনা করে ঢাকা খুলনা রুটে চলাচল করবে তিন জোড়া ট্রেন।
পুরাতন রুটে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা-ফরিদপুর-রাজবাড়ী হয়ে খুলনার দূরত্ব ৩৬৭ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে এখন দাড়াচ্ছে ১৭২ কিলোমিটার। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেসসহ খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত প্রতিদিন তিন জোড়া ট্রেন চলাচল করবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন ভোর ৬টা, বেলা সাড়ে ১২টা, দুপুর আড়াইটা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুলনা থেকে ছেড়ে যশোর, নড়াইল, ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে। এতে সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। প্রস্তাবনায় সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ টাকা।
নতুন রুটে ট্রেন চালুর খবরে দারুণ উচ্ছ্বসিত ভাঙ্গাসহ খুলনা অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা। বামনকান্দা রেলস্টেশনে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে ফেরা বেশ কয়েকজন যাত্রীর সাথে।
এ সময় আ: করিম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘খুলনা থেকে ঢাকায় ট্রেনে করে যেতে আগে সময় লাগত প্রায় আট ঘণ্টা। এখন খুলনা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়া যাবে। এতে আমরা খুব আনন্দিত।’
স্থানীয় সাংবাদিক অধ্যাপক দীলিপ দাস বলেন, ‘খুলনা থেকে ঢাকায় নতুন রুটে ট্রেন চলাচলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। এলাকার মানুষ সাশ্রয়ী খরচে যাতায়াত ও পন্য পরিবহন করতে পারবে। ফলে মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হবে।’
ভাঙ্গা রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মো: সাকিবুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘খুলনা থেকে ঢাকা পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচলের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নতুন করে টিকিটের বুথ বাড়ানো হচ্ছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের পদ্মবিলা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চলবে।’
এদিকে পরীক্ষামূলক ট্রেনে যাত্রী হিসেবে ছিলেন রেলপথ বিভাগের সচিব আ: বাকি, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত হোসেন, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা মামুনুর রহমান, রাজবাড়ী রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো: শফিকুর রহমানসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, চায়না রেলওয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।