২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট, ফেরি চলাচল ব্যাহত

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট, ফেরি চলাচল ব্যাহত - সংগৃহীত

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে ভয়াবহ নাব্যতা সঙ্কটদেখা দিয়েছে। নাব্যতা সঙ্কট ও ডুবোচরের কারণে নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফেরিগুলোকে নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিপথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের খনন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাছান আহমেদ বলেন, ‘দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়া নৌপথের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে ১০০ মিটার প্রশস্ত করে নৌবাহিনীর দু’টি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং চলছে। এই নৌরুটে ফেরি চলাচলের জন্য সাধারণত ১২ ফুট গভীরতা পানি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে পানির গভীরতা কম থাকায় ড্রেজিং করে নাব্যতা ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’

এদিকে ৭ নম্বর ঘাটের কাছে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় এক মাস ধরে বড় ফেরি ভিড়তে পারছে না। নাব্যতা দূর করতে জরুরি কাজের অংশ হিসেবে চলছে ড্রেজিং। বেশিভাগ সময় ঘাটের একাধিক পকেট বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ-এর দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, দৌলতদিয়ার সাতটি ঘাটের মধ্যে নদীভাঙ্গনে গত চার বছর ধরে ১, ২ ও ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ রয়েছে। ৩, ৪, ৬ ও ৭নম্বর ঘাট চালু থাকলেও নাব্যতা সঙ্কটে বছরের বেশিভাগ সময় ৬ নম্বর ঘাট বন্ধ থাকে। ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট সচল থাকলেও পদ্মায় অস্বাবিক হারে পানি কমায় গত এক মাস ধরে ৭ নম্বর রো রো (বড়) ফেরি ঘাটের কাছে পানি কমে যাওয়ায় ড্রেজিং শুরু হয়। ফলে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নদীতে খননকাজের জন্য দিনের বেলায় প্রায়ই ঘাট বন্ধ থাকছে।

রোববার দৌলতদিয়ার স্থানীয়রা জানায়, বর্ষাকালে ভাঙনের কারণে ঘাট বন্ধ থাকে। কয়েক বছর ধরে তিনটি ঘাট বন্ধ রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কুয়াশায় ফেরি বন্ধের পাশাপাশি নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি বন্ধের উপক্রম হয়। সারাবছরই ভোগান্তি নিয়ে এই রুট দিয়ে যাত্রীদের পারাপার হতে হয়।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: সালাহ উদ্দিন জানান, নাব্যতা সঙ্কট ও ডুবোচরের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি সার্ভিস কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে খননকাজ চলমান রয়েছে। আশা করি শিগগিরই নাব্যতা সঙ্কট দূর হয়ে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক হবে।


আরো সংবাদ



premium cement