শেকৃবি প্রশাসনের কাছে শিক্ষকদের ১৩ দফা দাবি
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:২৮
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার পরিবেশোন্নয়নে ১৩ দফা দাবি পেশ করেছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের কনফারেন্স কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় দাবিগুলো তুলে ধরেন।
এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের পাঁচটি বিভাগ ও অন্য অনুষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে এ সভায় দাবিগুলো তুলে ধরেন সিনিয়র অধ্যাপক মো: জাকির হোসেন।
এ সময় শিক্ষকরা স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন চালু করা, শ্রেণিকক্ষে স্মার্টবোর্ড ও সিপিউ স্থাপন, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণার জন্য বিদেশ যাওয়া সহজ করা, বামহাতি শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার হলে বিশেষ চেয়ার স্থাপন, কোর্স ক্রেডিট কমানো ও সিলেবাস আপডেট, দ্রুত ফল প্রকাশের ব্যবস্থা, শ্রেণিকক্ষের অকেজো মাল্টিমিডিয়া মেরামত ও প্রতিস্থাপন, শব্দ দূষণ রোধ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিতব্যবস্থা চালু, কম্পিউটার ল্যাবের আধুনিকায়ন, রিডিং রুম, প্রেয়ার ও কমন রুম চালু করাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শেকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল লতিফ, বিশেষ অতিথি প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মো: বেলাল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘বাজেটের সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে আপনাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ অনুষদের শিক্ষার পবিবেশের উন্নয়ন করা হবে।’
প্রে-ভিসি অধ্যাপক ড. মো: বেলাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা মিডটার্ম চালু করার মাধ্যমে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছি। আপনারা পরীক্ষার রুটিন যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় নির্ধারণ করা হবে। সেটাও অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আমাদের পক্ষে সেশনজট কমানো সম্ভব হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গ্লোবাল গ্র্যাজুয়েট তৈরি ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে স্থান করে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের গবেষণার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপডেট করবেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেকৃবির ভিসি বলেন, ‘দেশের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভেদে একই সিলেবাস প্রণয়ন করা দরকার। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে আমার কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা প্রস্তাব পেশ করবেন। আর আপনাদের দাবিগুলো বাজেটের ওপর নির্ভর করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।
এ সময় তিনি আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে শ্রেণিকক্ষের প্রত্যাশিত সংস্কার বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা