১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গাজীপুরে দুই কারখানা শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, কারখানায় আগুন

দু’ কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ - ছবি : নয়া দিগন্ত

গাজীপুরের কাশিমপুরের চক্রবর্তী এলাকায় দু’ কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে একটি পোশাককারখানা ও দু’টি কাভার্ডভ্যানে আগুন ও ভাঙচুর করেছেন। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) এ দু’ কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের চক্রবর্তী এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা গত দু’দিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আসছিল। সোমবারও বেক্সিমকো শ্রমিকেরা অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চক্রবর্তী এলাকায় তৃতীয় দিনের মতো ফের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আশপাশের অন্তত ২০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এ দিকে, গত ১ নভেম্বর থেকে কাশিমপুর থানার পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড নামের কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। গত রোববার কারখানা খুলে দেয়া হলেও দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। সোমবার সকালে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ টানিয়ে দেয়া দেখেন। ওই নোটিশ দেখে কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা জিরানী এলাকায় অবস্থান নিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের অবরোধ সৃষ্টি করেন।

একই সময়ে একই মহাসড়কের কাছাকাছি স্থানে ওই দুই কারখানার শ্রমিকেরা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। আহত শ্রমিকদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ দিকে, সংঘর্ষের সময় কিছু শ্রমিক পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকায় ঢুকে পড়ে এবং এলাকার লোকজনদের মারধর করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। বেশ কিছু সময় দু’ কারখানা শ্রমিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকোর কিছু শ্রমিক পূর্ব কলতাসুতি এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার নামের একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন ও ভাংচুর করেন। আন্দোলনরত শ্রমিকরা বিকেলে স্থানীয় বিগবস কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি কাভার্ডভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভান। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে শ্রমিকরা বাধা দেয়। পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ও ঢাকা ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানা ও শিল্প পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে।’

এ সংবাদ লেখার সময় (পৌনে ৬টা) শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর মো: রফিকুল ইসলাম জানান, ‘শ্রমিকেরা এখনো মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement
চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে পিএসসি’র সিদ্ধান্ত ট্রাকচাপায় হাবিপ্রবির ল্যাব টেকনিশিয়ান নিহত 'গণহত্যায় উসকানির দায়ে' ৩৭ সাংবাদিকের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত সিলেটের কানাইঘাটে বন্ধুর হাতে ছাত্রদল নেতা খুন তিতুমীর কলেজের ইস্যুটির দ্রুতই সমাধান হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব কাঁঠালিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু ইয়াং মুসলিমস সোসাইটির যাত্রা শুরু টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ৪ বছরের কথা বলেননি প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের পাশে থাকবে : সহকারী মহাসচিব

সকল