বেক্সিমকোর শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ চলছেই
- মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৮, আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৯
গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে অবরোধ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে চক্রবর্তী এলাকার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবরোধের কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে সড়কের উভয় দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন।
শিল্প পুলিশ জানায়, অক্টোবর মাসের বেতন না পেয়ে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলনে নামে। তারা ওইদিন দাবি আদায়ে সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চক্রবর্তী এলাকার চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। শুক্রবার কারখানার সপ্তাহিক বন্ধ থাকায় কর্মসূচী স্থগিত রাখেন শ্রমিকরা। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তারা শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত একই স্থানে ফের অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা রোববার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একই জায়গায় অবস্থান করে বেতনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে থানা ও শিল্প পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে এবং মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করেও সফল হয়নি। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে আন্দোলনরত শ্রমিকরা। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তরবঙ্গের যানবাহনগুলো বিকল্প সড়ক পথে অচল করলেও সড়কের আশেপাশের সংযোগ সড়কের যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা পড়ে সড়কেই অবস্থান করছেন।
পুলিশ, শ্রমিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো ইড্রাস্টিয়াল পার্কে কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরের কয়েক মাস নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। ওই মাসগুলোতে তারা আন্দোলন করে বেতন নিয়েছে। এদিকে নির্ধারিত সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত গত অক্টোবর মাসের বেতনও পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিভিন্ন কারখানায় ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করে। শ্রমিকদের কেতন বাবদ কমপক্ষে ৮০ কোটি টাকার প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ টাকার যোগাড় করতে না পারায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা