গজারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট নাজির হোসেন (২৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সাড়ে ৮টার দিকে কয়লার গদিতে একটি পুরাতন টিনসেড ঘর ভাঙার সময় বিদ্যুতের তারে লেগে তার মৃত্যু হয়।

নাজির হোসেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লক্ষীপুর গ্রামের মরহুম রফিকুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন একই উপজেলার উমেদপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে নাজমুল হোসেন (২২), একই গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে মাসারুল ইসলাম (২৩), বদরপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে হেলাল (২৪) ও মরহুম আব্দুল খালেকের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪০)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাভেল হাসান বলেন, আহতরা বাউশিয়া পুরাতন ফেরিঘাট-সংলগ্ন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুনচর চাষী এলাকায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকনের কয়লার গদিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আহতদের মধ্যে নাজির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ‘আহত বাকি চারজনের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত শ্রমিক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এই তারে বিদ্যুৎ থাকতে পারে তা আমরা চিন্তাও করি নাই। ঘরের চালা নিচে নামানোর সময় তা তারের সাথে লেগে যায়। সেখান থেকে আমারা পাঁচজন আহত হয়েছি।’

বিষয়টি সম্পর্কে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩-এর গজারিয়া জোনাল অফিসার ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পাল বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটি আমি শুনেছি। তারা কিভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে তা সরজমিনে গিয়ে দেখতে হবে।’

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। নিহতের লাশ দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।’