আ’লীগ নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রানা প্লাজার ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩০
সাভারে আওয়ামী লীগ নেতা ডা. এনামুর রহমান ও তার স্ত্রী রওশন আরার বিরুদ্ধে রানা প্লাজার ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সাভার প্রেসক্লাবের সামনে টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ সাত দফার দাবিতে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ব্যানারে সমাবেশ করা হয়।
এ সময় রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের দাবি আদায় আন্দোলনের সভাপতি নূরুল ইসলাম বলেন, ‘রানা প্লাজা ধ্বংসের দু’ মাস পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহত শ্রমিকদের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন। ডা. এনামুর রহমানের বড় স্ত্রী রওশন আরা আহত শ্রমিকদের নাম ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে বলে তথ্য নেন। কিন্তু টাকা আসার পর কোনো টাকা আমাদের দেয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘ওই ফান্ডের সাড়ে তিন কোটি টাকা রওশন আরা আত্মসাৎ করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ওই সময় সংসদে বলেছিলেন, বিদেশ থেকে ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই। অথচ ওই ফান্ড থেকে আমাদের শ্রমিকদের ২২ কোটি টাকা দিলেও ১০৫ কোটি টাকা কোথায় গেল? তিনি এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং ওই সময়ে সরকারের সাথে থাকা ক্ষমতাবান কর্তা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন।’
সমাবেশে নেতারা রানা প্লাজায় হত্যার সাথে জড়িত গার্মেন্টস মালিক, ভবন মালিক, সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিসহ যারা জড়িত আছে তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা, রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের নামে সরকারি জায়গা বরাদ্দ দিয়ে স্থায়ী পুনর্বাসন করা, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অনুদানের টাকা আত্মসাৎকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেয়া, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা, যে সকল ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান পাওয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা হয়নি তাদের অ্যাকাউন্ট করে দেয়ার দাবি পেশ করেন।
এ সময় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শাহ আলমসহ বিভিন্ন স্তরের শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্রাজেডি বিশ্বের একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী শ্রমিক দুর্ঘটনা। ভয়াবহ এ ঘটনায় সরকারি হিসেবে এক হাজার এক শ’ ৩৬ জন শ্রমিক নিহত ও দু’ হাজার চার শ’ ৩৮ জন শ্রমিক আহত হন।