সাংবাদিকদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশে বাধা ইউএনও ইলোরার
- দোহার (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৯
ঢাকার দোহারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলোরা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের ক্যামেরা নিয়ে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে কয়েকজন সাংবাদিক প্রবেশ করতে গেলে তাদের সাথে থাকা ক্যামেরা বাইরে রেখে আসার কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা ইলোরা ইয়াসমিনের এমন আচরণে সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, ১২ নভেম্বর সকালে ইউএনও অফিসের সহকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের ক্যামেরা বাইরে রেখে যাওয়ার শর্তে কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেন। ওই ঘটনায় ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফিরে আসেন সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার তার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি তার অফিস সহকারীকে প্রজ্ঞাপনের একটি কপি দিতে বলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়লের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে স্মারক নম্বর দিয়ে সার্চ করলে সহকারী কর্মকর্তার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এমন ঘটনায় দোহার উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভির আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ইউএনও-এর কক্ষে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশে কোনো বাধা কিংবা নিষেধাজ্ঞা আছে বলে আমার জানা নেই।’
ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলেন, ‘কোনো বিষয়ে প্রতিবেদন করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য নেয়া সাংবাদিকদের দায়িত্ব। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কোনো রিপোর্টের প্রয়োজনে কোনো তথ্য প্রয়োজন হলে আবেদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তথ্য দিতে বাধ্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের স্পোকস পারসন হিসেবে ওই কর্মকর্তা যদি তথ্য না দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করার বিধান রয়েছে। অভিযোগ দায়েরের ফলে বহু সরকারি কর্মকর্তাদেরকে তথ্য কমিশনে তলব ও শাস্তি প্রদানের নজির রয়েছে।’
ঢাকা জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সম্পাদক এইচ এম আমিন বলেন, ‘সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করবে না তাহলে কি নিয়ে প্রবেশ করবে? তিনি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।’
নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, ‘ইউএনও যদি এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন তাহলে স্বাধীন সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না।’
দোহার প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সোহেল রানা জানান, ‘সাংবাদিকের সাথে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইউএনও যদি কোনো সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য না দেন এবং ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশে বাধা দেন সাংবাদিক সংগঠন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।’