সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ১৫ দিনের রিমান্ডে
আদালতে বিক্ষোভ : ডিম নিক্ষেপ- টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
- ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৯
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে ১৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় আদালত ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবীরা আব্দুর রাজ্জাকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে তোলার সময় তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারেন কেউ কেউ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে তিনটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদনসহ প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে তাকে টাঙ্গাইল আদালতে তোলা হয়। প্রতিটি মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ‘আব্দুর রাজ্জাক গত ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকার নিউ মার্কেট থানার একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আটক আছেন। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন টাঙ্গাইল সদর থানার স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলায়, মির্জাপুর থানার কলেজছাত্র ও সমন্বয়ক ইমন হত্যা মামলায় এবং মধুপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। একই সাথে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। অন্যদিকে, আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন আব্দুর রাজ্জাক। শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে প্রতিটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখান আদালত।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাহমুদুল মোহসীন মধুপুর থানার মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন। এছাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতের বিচারক পশুপতি বিশ্বাস সদর থানার মারুফ হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ দিন এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর থানা আমলী আদালতের বিচারক ইসমত আরা মির্জাপুর থানার ইমন হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন।’
আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন টাঙ্গাইল বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম শামীমুল আক্তার শামীমসহ বেশ কয়েজন আইনজীবী। অন্যদিকে, কোর্ট ইন্সপেক্টর ছাড়াও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন টাঙ্গাইলের সদ্য নিয়োগ পাওয়া পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন। শুনানিকালে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীতে ঠাসা ছিল পুরো এজলাস কক্ষ।
টাঙ্গাইলের সদ্য নিয়োগ পাওয়া পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাক একজন আত্মস্বীকৃত খুনি। তাকে আদালতে তোলা হলে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চান। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। বিচারকরা শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রতিটি মামলায় তাকে পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড দেন। আমরা তার ফাঁসির দাবি করছি।’