ভৈরবে নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিকমানের নৌ-টার্মিনাল : উপদেষ্টা সাখাওয়াত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আন্তর্জাতিকমানের নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্য কাজ শেষ করার লক্ষ্যে প্রস্ততি চলছে। ভৈরব একটি পুরানো নদী বন্দর, তাই বন্দরের উন্নতির লক্ষ্যে এখানে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি টার্মিনাল জেটি নির্মাণ করা হবে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরব মেঘনা নদীবন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা জানান।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রজেক্টের মধ্যে ভৈরব একটি বড় প্রজেক্ট ছিল। যা আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার হবে কয়েক দিনের মধ্য। এখানে জেটির কাজ করতে নদীর পাড়ের দোকানদারদের মালিকানার সঠিক কাগজপত্র থাকলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং যাদের কাগজ নেই সেসব দোকানের বিষয় বিবেচনা করা হবে।

এ প্রকল্পে ভৈরববাসীর সাময়িক অসুবিধা হলেও তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, কাজটি আগামী বছর শেষ হলে এর সুফল ভোগ করবে ভৈরবের জনগণ। এতে এখানকার ব্যবসা-বানিজ্যের উন্নতিসহ মালামালা ওঠা-নামা, লঞ্চ চলাচলে ঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোসহ যাত্রীদের ওঠা-নামার অসুবিধা দূর হবে। এছাড়া আশুগঞ্জ পাড়েও ভারতীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরি হবে। এ কাজটি আগের সরকার টেন্ডার দিয়ে গেছে। আশুগঞ্জ টার্মিনাল নির্মাণের পর চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে ঘাটটি ব্যবহার করবে। ভৈরবের কাজটি সঠিক সময়ে শেষ করার পর নদীবন্দরের চেহারা পাল্টে যাবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য গতকাল মন্ত্রণালয়ে ভৈরবের কাজের ফাইলটি স্বাক্ষর করার পর আজ ভৈরবে এসে স্বচক্ষে কাজের জায়গাটি পরিদর্শন করলাম। এর কারণ কাজটি দ্রুত যথাসময়ে আমরা শেষ করতে চাই। যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে প্রজেক্টের টাকা বিশ্বব্যাংক ফেরত নিয়ে যাবে। কাজেই কাজের সুযোগ আমরা হারাতে চাই না।’

এ সময় তার সাথে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আয়ূব আলী, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন, ভৈরব পুলিশের সার্কেল এএসপি নাজমুস সাকিব প্রমুখ।