গাজীপুরে বকেয়া বেতন আদায় ছাড়া মহাসড়ক ছাড়তে নারাজ শ্রমিকরা
- গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি
- ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২৬
গাজীপুরে বকেয়া বেতন আদায় ছাড়া মহাসড়ক ছাড়তে নারাজ টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাককারখানার শ্রমিকরা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা মহাসড়কে অবস্থান করছেন। রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত তাদের অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।
এ অবরোধের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক শনিবার দিনভর অচল ছিল। এতে হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, ‘গাজীপুর নগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টি অ্যান্ড জেড গ্রুপের ছয়টি কারখানা রয়েছে। বকেয়া পাওনা না দিয়েই কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিলে শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ছয়টি কারখানায় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া। এ নিয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘ দিন ধরেই তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েও বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হয়। শ্রমিকরা কয়েক দফা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন। শনিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মালেকের বাড়ি কলম্বিয়া মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।’
কারখানা শ্রমিক রবিউল হাসান বলেন, ‘গত দু’ মাস ধরে কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করছে। যার কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।’
নাজমা আক্তার নামে অপর এক শ্রমিক বলেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় বারবার বেতন পরিশোধের তারিখ দিলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সড়ক অবরোধ করেছি।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত এক মাস ধরে এ কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সুরাহা করছে না। অবরোধের ফলে এ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং পরিবহন চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বেতন সংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা কয়েকবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও পরিশোধ করতে পারেনি। আজো তারা টাকা সংগ্রহের জন্য বিভিন্নস্থানে চেষ্টা করছে। আমরা শ্রমিকদেরকে বুঝনার চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা বকেয়া পাওনা আদায় ছাড়া মহাসড়ক ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না। কারখানা কর্তৃপক্ষ বারবার কথা দিয়ে বেতন পরিশোধ করতে না পারায় শ্রমিকরা আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। ফলে বারবার চেষ্টা করার পরও শ্রমিকরা মহাসড়ক ছাড়ছে না।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা