নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতাকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী ও ভাগ্নে গ্রেফতার
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও ফতুল্লা সংবাদদাতা
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২:০২
নারায়ণগঞ্জ শহরের মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু হত্যা মামলার আসামি ভাগ্নে রাসেল মাহমুদ ও নিহতের সাবেক স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্নাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে রাসেলের দু’দিনের রিমান্ড ও নিহতের সাবেক স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নুসরাত সাহারা বিথীর আদালতে গ্রেফতার আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাইউম এ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই।
পুলিশ সুপার (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা মো: মোস্তফা কামাল রাশেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাসেল মাহমুদ ও পাপিয়া আক্তার পান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত রাসেল মাহমুদকে দু’দিনের ও পাপিয়া আক্তার পান্নাকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ আগস্ট রাতে শহরের মাসদাইর শেরে বাংলা রোডের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ-সংলগ্ন সেঞ্চুরী হেলেনা এপার্টমেন্টের নিচে লিফটের খালি জায়গায় জমে থাকা পানিতে ভাসতে দেখা যায় যুবদল নেতা আনুর লাশ। এর আগে দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। হেলেনা কটেজের নবম তলার ভাড়াটিয়া ছিলেন তিনি। নিহত আনোয়ার হোসেন আনু নাসিকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি।
ওই ঘটনায় ২৭ আগস্ট নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদশা নিহতের ভাগ্নে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাসেলকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার আসামিরা হলেন ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর মার্টিন গার্মেন্টেসের গলি এলাকার বাসিন্দা গোল মোহাম্মদের ছেলে রাসেল মাহমুদ (৪২), শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার মেয়ে ও নিহতের সাবেক স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্না (৪২), নিহতের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১), নিহতের ছেলে সারিদ হোসেন (১৯), শহরের বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার দু’ছেলে নুর আলম (৪৫) ও কাজল (৩২) এবং মেয়ে রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬) ও গোল মোহাম্মদ।
এদের মধ্যে ঘটনার পরপরই নিহতের মেয়ে ও ছেলেসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল নিহত যুবদল নেতা আনুর স্ত্রী পান্নার সাথে ভাগ্নে রাসেলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ওই পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে আনুর সাথে পান্নার ডিভোর্স হয়। সম্পদের লোভে ভাগ্নে রাসেল ও সাবেক স্ত্রী এবং ছেলেরা মিলে রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা