দেশকে কল্যাণরাষ্ট্র করতে শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : সেলিম উদ্দি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১০
দেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘দেশে ইসলামী শ্রমনীতি না থাকায় শ্রমিক সমাজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই শ্রমিক সমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর কোনো বিকল্প নেই।’
এ সময় দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে সরকার ও মালিক পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন বালুরমাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগরী সভাপতি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম আতিকুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু: আতাউর রহমান সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নূরুল আমীন, গাজীপুর মহানগরী সভাপতি ফারদিন হাসান হাসিব, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সভাপতি মিজানুল হক, গাজী মাহবুবুল আলম ও হাসান ঈমাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান পান্না, হোসাইন আহমদ, সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্টস সেক্টর সভাপতি আব্দুল আলী বাশার ও পরিবহন সেক্টর সভাপতি কামাল উদ্দীন রায়হান ও শ্রমিক নেতা শাহাদাত হোসেন প্রমূখ।
সমাবেশে সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘শ্রমিক সমাজই জাতীয় উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। শ্রমিকদের ওপর দেশের মর্যাদা-সম্মান ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে। কিন্তু আমাদের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক সমাজ অধিকার বঞ্চিত। তাদেরকে ন্যায্য অধিকার দেয়া হয় না। আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে শ্রমিকরা ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখলেও তারা এখনো অবহেলিত রয়ে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশের শ্রমিক সমাজ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের যথাযথ মর্যাদা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠে। মালিক-শ্রমিক পরস্পর সহানুভূতিশীল না হলে তা উন্নয়ন-অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করে। রাসূল সা: শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে বলেছেন। তাই বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে চাইলে শ্রমিকদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।’
মহানগরী উত্তর আমির বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিনষ্ট করেছে। বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশকে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। রাজনীতিকে ব্যবসায়ীক পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। জনগণ তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তিনি ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শ্রমিক সমাজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ফ্যাসীবাদীদের বিদায় করতে দেশের শ্রমিক সমাজ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। অনেকেই শাহাদাতবরণ করেছেন। তিনি ৫ আগস্ট বিপ্লবের শাহাদাত বরণকারী শ্রমিকদের জাতীয় বীর হিসাবে ঘোষণা দেয়ার আহ্বান জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা