০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে : নজরুল ইসলাম

জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ৭ নভেম্বরের আলোচনা সভা - ছবি : নয়া দিগন্ত

স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রে দেশে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন লড়াই করে অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনকে সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনরত সকল সংগঠনের জাতীয় ঐক্য আরো সুদৃঢ় করা দরকার।’

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং গণতন্ত্র উত্তরণে নবদিগন্তের সূচনা’ শীর্ষক ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি একথা বলেন।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার জন্য অনেক চক্রান্ত করা হয়েছে। সচেতন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছে।

জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে সংস্কার কার্যক্রম প্রয়োজন এটা প্রথম বিএনপি উপলব্ধি করেছে এবং ৩১ দফা সংস্কার কার্যক্রম জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, ‘৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদী শক্তির পরাজয় ঘটে। ক্যান্টনমেন্টের নিজ বাসা থেকে সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে সিপাহী জনতা স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুক্ত করে আনেন।’

তারা বলেন, ‘৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আধিপত্যবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে চির জাগ্রত থাকবে। অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে মজবুত করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে।’

শহীদ জিয়াউর রহমান বাকশালী স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের বাকশক্তি ফিরিয়ে এনেছেন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, ‘তিনি সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছেন। খালকাটা বিপ্লব করে দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধির শিখরে এগিয়ে নিয়েছেন। তার সময়ে দেশে উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে গণতন্ত্রের বাক-স্বাধীনতা হরণ করে দেশের সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল। একইভাবে শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থা ছিল বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ।’

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় পার্টির মহাসচিব হাসান হাবিব লিংকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো: লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান, জাতীয় দলের কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব আলহাজ্ব এম এ বাশার, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব ইমরুল কায়েস প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement