ঘুরে দাঁড়াতে হোঁচট খাচ্ছেন নন্দন পার্কের অংশীদাররা
- তুহিন আহামেদ, আশুলিয়া (ঢাকা)
- ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:১৩
এক সময়ের জনপ্রিয় বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার নন্দন পার্ক ছিল অন্যতম। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে দেশের স্বনামধন্য এই বিনোদন কেন্দ্রটি এখন ধ্বংসের মুখে। সাবেক চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দাঁড়াতে হোঁচট খাচ্ছেন বর্তমান অংশীদাররা।
তবে নন্দন পার্কের দূর্দশা কাটিয়ে আবারো নতুন রূপে সাঁজবে এমনটিই প্রত্যাশা পার্ক কর্তৃপক্ষের।
২০০৩ সালে ২৮ একর জমির ওপর নির্মিত হয় দেশের অন্যতম এই বিনোদন কেন্দ্রটি। শুরুর দিকে দর্শনার্থীদের সমাগম থাকলেও বর্তমানের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
সম্প্রতি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন পার্কটির চেয়ারম্যান বিলাল হক। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংসহ বিনোদন কেন্দ্রের শেয়ার দখলেরও অভিযোগ করেন পার্কটির অংশীদাররা। এছাড়াও কর্মচারীদের বেতন বোনাস না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রাইড অপারেটর আবু সাঈদ বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ ধরে কাজ করেন তিনি। তবুও বেতন বোনাস ঠিকমত পাননি। একবার অসুস্থ হওয়ায় বিলাল হকের কাছে কিছু আর্থিক সহায়তা চাইতে গিয়ে চাকরি হারাতে বসেছিলেন তিনি।’
অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি আরো বলেন, ‘বিলাল সাহেবের কাছে কোনো দাবি নিয়ে গেলে চাকরি করা লাগবে না পার্কের গেট খোলা আছে চলে যেতে পারো বলে দিতেন। বয়সের ভারে অন্য জায়গায় কাজের সুযোগ না পাওয়ায় নানাভাবে অত্যাচারিত হওয়া সত্ত্বেও এখানেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তবে এখনকার ম্যানেজমেন্ট-মালিকপক্ষের ব্যবহারে তারা সকল কর্মচারী সন্তুষ্ট।’
এ ব্যাপারে নন্দন পার্কের সাবেক চেয়ারম্যান বিলাল হকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পার্কটির অংশীদার ও পরিচালক সিরাজুল হক বলেন, ‘বিলাল হক সাবেক ডিবি প্রধান হারুনকে মৌখিকভাবে ২০ শতাংশ শেয়ার দিয়ে তার মাধ্যমে আমাদের ভয় দেখাতেন। গত ৭ বছর ধরে আমাদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ প্রদান করেনি। এছাড়া অবৈধভাবে শেয়ারও দখল করে রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘পরিচালনা পর্ষদে ১২ জন শেয়ারহোল্ডার থাকলেও মনগড়াভাবে পার্কটি পরিচালনা করতেন তিনি। পার্কটি থেকে তিনি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও ঠিকমতো দিতেন না। তিনি কৌশলে আমাদের শেয়ার দখলের চেষ্টাও করেছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে কর্মচারীরাও অসন্তোষ।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা