২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

রাজনৈতিক কারণে নয়, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ : উপদেষ্টা ফরিদা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার - ফাইল ছবি

ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক কারণে নয়, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে সরকার নিষিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

শুক্রবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় ব্যাক সিডিএমএ তিন দিনব্যাপী মহিষ নিয়ে এশিয়ান বাফালো কংগ্রেস সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে এখনো নিষিদ্ধের ব্যাপারে পরিকল্পনা হয়নি। ছাত্রলীগ সবসময় সন্ত্রাসী কার্যকালাপে লিপ্ত ছিল। ছাত্রলীগ যদি ভালো রাজনীতিতে থাকত, তাহলে নিষিদ্ধ হতো না। তারা নিজেরা আইন ভঙ্গ করেছে। আইন হাতে তুলে নিয়েছে বলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এছাড়া কোনো উপায় ছিল না।’

তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে, তাদের কাজ ভালো ছিল না। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। বিদেশ থেকে সেই টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।

নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে ইলিশ মাছ ধরছে তারা জেলে না, তারা দুষ্কৃতকারী। তারা ব্যবসা না করে তারা মুনাফা চায়, এ জন্য ইলিশ মাছ ধরছে নদীতে। আর জেলেরা মাছ না ধরে ২২ দিন বসে আছে। মাছ না ধরতে সরকার কঠোর আইন নিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জেলেরা মাছ না ধরে আইন মেনে চলছে।’

মহিষ পালনের ব্যাপারে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে অনেক চর অঞ্চল আছে। সেই চর অঞ্চলে মহিষ পালনে সরকার নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। মহিষের গোশতের অনেক চাহিদাও বেড়েছে। দেশে গরুর গোশত বিক্রিতে অনেক রকম কারসাজি আছে, দামটা ঠিক করে নিয়ন্ত্রণে যেন আনা যায় সে জন্য সরকার কাজ করছে।’

শুধু গোশত না, অন্যান্য প্রাণিজ ও আমিষসহ সব খাদ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার দরকার বলেও জানান তিনি।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহা-পরিচালক ড. রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এশিয়ান বাফালো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. ওমর ফারুক, আয়োজক কমিটির সচিব ড. হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।

তিন দিনব্যাপী ১১তম এশিয়ান বাফালো কংগ্রেস সম্মেলনে বিশ্বের নয়টি দেশের ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী শিক্ষাবিদ, গবেষক, কৃষক এবং মহিষ নিয়ে কাজ করা নীতি নির্ধারকরা অংশগ্রহণ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement