২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩০, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

২৪ ঘণ্টা পাড় হলেও মহাসড়ক ছাড়েনি শ্রমিকরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছে ভজেনারেশন নেক্সট লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাককারখানার শ্রমিকরা। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা পাড় হলেও মহাসড়ক ছাড়েনি তারা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় এ দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে, গতকাল সোমবার ১০টার দিকে তারা মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা অর্থাৎ দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা পেড়িয়ে গেলেও মহাসড়ক ছাড়েনি বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা।

বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা জানায়, গত তিন মাস থেকে কোনো বেতন বোনাস পায়নি তারা। বেতন না দিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে কয়েকবার মালিকপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। বারবার আশ্বাস দিলেও তারা বেতন পরিশোধ করেনি। তিন মাস অতিবাহিত হলেও বেশির ভাগ শ্রমিক বেতন বোনাস পায়নি। কারখানার স্টাফদের বেতন বকেয়া আছে চার থেকে পাঁচ মাসের। এরপর বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে গেলে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কারখানা খুলে দেয়নি, বেতন ও বোনাস পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ।

বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা আরো জানায়, গত তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। বাসা ভাড়া ও দোকান বাকি থাকায় অনেকটাই না খেয়ে দিন পার করছেন। কোথাও চাকরি নিতে পারছেন না। এক মাসের বেতন বোনাস পরিশোধ না করেই গত মাসে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। গত মাসে বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয় তাদের আশ্বাস দিয়েছে বেতন বোনাস পরিশোধ এবং কারখানা খুলে দেয়া হবে। কিন্ত তিন মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে এসেছেন। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলতে থাকবে বলেও জানান শ্রমিকরা।

এদিকে, বাইপাইল ত্রিমোড়ে অবরোধ করে রাখায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গমুখী লেনে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তবে স্থানীয় রিকশা-অটোরিকশা বাইপাইল থেকে চন্দ্রাগামী লেনে চলাচল করতে পারছে। এতে রিকশা অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে জনগণকে। এছাড়া বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কও বাইপাইলমুখী লেন বন্ধ রয়েছে। এতে ভয়াবহ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই দু’টি সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীরা। কেউ কেউ আবার আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন।

শিল্পপুলিশ-১-এর পরিচালক মো: সারোয়ার আলম বলেন, ‘কারখানার কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সাথে কথা হচ্ছে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলের সকল কারখানা খোলা রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement