গোয়ালন্দে নিষিদ্ধ সময়ে পদ্মার পাড়ে ইলিশের হাট
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
- ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৮
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে শতশত জেলে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে রাত দিন একইভাবে ইলিশ শিকার করে চলেছে। পুলিশ তৎপরতা থাকলেও খুবই সীমিত। প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা লোকজনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নদীতে শিকার করা ইলিশ পদ্মার বাঁকে বাঁকে হাট বসিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে, পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তারমোড় থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কলাবাগান ও উজানচর ইউনিয়নের চর করনেশন পর্যন্ত নদীর সব জায়গায় শতশত মৌসুমী জেলেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করতে দেখা যায়।
তবে এ সময় বেশকিছু জেলেকে নদীর পাড়ে তাবু টাঙ্গিয়ে জাল মেরামত করতে অলস সময় কাটাতেও দেখা যায়।
এ সময় অন্তার মোড়ে জাল মেরামত কালে এরশাদ বিশ্বাস, করম আলী বিশ্বাস, মো: সবুর শেখসহ একাধিক জেলে আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা জাল, দরি ও নৌকা নিয়ে বসে আছি। অথচ শৌখিন জেলেরা রাত দিন ইলিশ ধরে হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করছে। পুলিশ তাদের কখনো আটক করতে আসে না।’
দৌলতদিয়া ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় নৌ-যান ও পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক বাজেট না থাকায় ইলিশ রক্ষা অভিযান পুরাপুরি সফল করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলেদের শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের সাথে প্রশাসনের দুর্বল বোট কুলিয়ে উঠতে না পারায় জেলেদের আটক করা সম্ভব হয় না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ছোটভাকলার অন্তার মোড়, চর দেলুনদি, দেবগ্রামের কাওলজানি, মুন্সীপাড়া, দৌলতদিয়ার বেপারীপাড়া, বাহের চর দৌলতদিয়া, কলাবাগান, করনেশোনাসহ পদ্মার পাড়ে প্রতিনিয়ত ইলিশ বেচা-কেনা হচ্ছে। প্রতি কেজি ইলিশ তিন শ’ থেকে বারো শ’ টাকায় বিক্রি হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে মাঝে মাঝে অভিযান করা হচ্ছে। নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে নৌ-যান সঙ্কটে অভিযান পুরাপুরি সফল করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা