১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩০, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ফতুল্লা আ’লীগ নেতার বাড়িতে পলাতক ক্যাডারদের আশ্রয়

পুলিশের অভিযান
ফতুল্লা আ’লীগ নেতার বাড়িতে পলাতক ক্যাডারদের আশ্রয় - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুব আইলে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে পলাতক ক্যাডারদের আশ্রয় দেয়ার খবর পায়া গেছে। ফতুল্লা থানা পুলিশ মামলার আসামি আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) পলাতক অপরাধীদের গ্রেফতারে নজরধারী বাড়াল পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলার আসামিকে আটকের পর পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শামীম ওসমানসহ অনেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর অনেকে গোপনে নারায়ণগঞ্জে ফিরতে শুরু করে। ফতুল্লাসহ আশপাশ থানা এলাকা এমন কি রাজধানী ঢাকার ও বেশ কিছু হত্যা মামলার আসামি ফতুল্লার কুতুবআইলস্থ আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার সুমনের বাংলো বাড়িতে আনোগোনা বাড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর আক্তার সুমন ও যুবলীগ ক্যাডর ওলা মাসুদের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিলে গুলি চালানো ঘটনা ঘটে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রতন নামের এক হত্যা মামলার আসামি আক্তার সুমনের বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার মুহূর্তে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে রতনকে আটক করে থানায় নিতে চাইলে আক্তার সুমনসহ তাদের বাড়িতে এবং কারখানায় আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের বাধা দেয়। এ সময় টেনে হিচড়ে কারখানার ভেতরে নিয়ে গিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং পুলিশ সদস্যদেরকে লাঞ্চিত করে।

পরে সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে হত্যা মামলার আসামি রতনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আক্তার চক্র এখানে থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই আসামিকে ফ্যাক্টরির ভেতর থেকে আনা যায় নাই। তাকে ছেড়ে দিয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যদের সুস্থ অবস্থায় নিয়ে আমরা ফিরে এসেছি। তবে এই আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে দৃঢ়তার সাথে বলেন ওসি শরিফুল ইসলাম।’

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আক্তার-সুমনদের বাড়ির ভেতর থেকে প্রতিদিনই অপরিচিত মুখ দেখা যায়। কেউ বাসার ভেতরে প্রবেশ করছে কেউ বা আবার বের হয়ে বিভিন্ন দোকানে বসে চা-নাস্তা খেয়ে আবার বাসার ভেতরে চলে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে প্রায় সময় কালোগ্লাসের হাইস নোয়া গাড়ি বাংলোবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। আবার চার-দশ মিনিটের মধ্যেই দ্রুত বের হয়ে যায়। শুক্রবার রাত ৯টার দিকেও একটি সাদা রংয়ের কালো গ্লাসযুক্ত হাইস মাইক্রোবাস বাংলো বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। পাঁচ-সাত মিনিট পর আবার গাড়িটি বের হয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement