আশুলিয়ায় ভুল অপারেশনে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

ঢাকার আশুলিয়ায় আজ রোববার সন্ধ্যায় ভুল অপারেশনে পারভিন আক্তার (৩৬) নামের এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে নিউ পপুলার হসপিটালের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, নিহত পারভিন আক্তার রাজবাড়ী সদরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং স্বামী ও চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি দিঘিরপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, এটা তিন নম্বর অপারেশন পারভিনের। তার ইব্রাহিম (১০) শাকিব (০৭) নামের দুই ছেলে ও সানজিদা (১৫) ও তাসমীম (১৬) নামের দুই মেয়ে রয়েছে। আজও অপারেশনে তার মেয়ে হয়। বাড়ির কাছে হওয়ায় এই হাসপাতালে অপারেশন করাতে নিয়ে আসেন তারা। ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করে পারভিনকে মেরে ফেলা হয়েছে। তারা এর বিচার চান।

এদিকে, মৃত্যুর পরেও স্বজনদের বিষয়টি না জানিয়ে ডাক্তারকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ও নিহতের স্বজনরা ডাক্তারকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

অভিযুক্ত ডা: আতিকুর রহমান এব্যাপারে জানান, তিনি এর আগে অনেক সিজারিয়ান অপারেশন করেছেন। অপারেশনের আগ থেকেই এ রোগীর পেটে রক্তক্ষরণ হয়। যার ফলে তিনি স্ট্রোক করেন এবং পরে মারা যান। তার কোনো ভুল ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে, বিএমডিসি ওয়েবসাইটে অভিযুক্ত ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নম্বরে প্রবেশ করলে অন্য এক ব্যক্তির ছবি ও নাম আসে এবং সেই নম্বরও ২০০৩ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এসব ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি তার রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করেন না, তাই সেটা বিএমডিসির ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছে না।

অভিযুক্ত চিকিৎসক গাজীপুরের কালিয়াকৈর উফেলার সূত্রাপুর এলাকার মরহুম বোরহান উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

নিউ পপুলার হাসপাতালের মালিক মজিবুর রহমান জানান, উনি ভুয়া ডাক্তার কি না জানা নেই। তবে আমাদের কাছে যারা ডিউটি ডাক্তার আছেন তাদের কাগজপত্র জমা নেয়া হয়, তবে উনাকে কল করে আনা হয়। তাই উনার কাগজপত্র নেয়া হয়নি। এখন আইনগতভাবে যা হবার হবে।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, অলরেডি অফিসার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।