ফতুল্লায় পলাতক শ্রমিক লীগ নেতার বাড়িতে রহস্যজনক ডাকাতি!

নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পলাতক কাউছার আহম্মেদ পলাশের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। তবে ডাকাতির ঘটনাটি রহস্যময় বলে জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।

শনিবার (৬ অক্টোবর) গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে হাত-মুখ বেঁধে ডলার, নগদ টাকা ও ১২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।

অনেকে বলেছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেই পালিয়ে যায় পলাশ। আর এর আগেও পালিয়ে যাওয়ার পর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

পলাশের পরিবারের দাবি, পরিবারের সদস্যদের মারধর করে হাত-মুখ বেঁধে ডলার, নগদ টাকা ও ১২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। এ সময় বাসায় ছিলেন না শ্রমিল লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদে ওপর গুলি করে হত্যা মামলার পলাতক আসামি পলাশ। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

ডাকাতির ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করেন স্থাীনয়রা। এর আগে ও ২০০১ সালে আওয়ামী সরাকারের পতনের পর চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার ক্ষমতায় আাসার পরপরই পলাশোর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল তখনো পলাশ পলাতক ছিল। এবারও পলাতক থাকাবস্থায় পলাশের বাড়িতে ডাকাতি ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার আলীগঞ্জ মসজিদ গলিতে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস এম জহিরুল ইসলাম ও ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম।

কাউছার আহম্মেদ পলাশের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফতুল্লার আলীগঞ্জ মসজিদ গলিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহম্মেদ পলাশের বাড়িতে অস্ত্রধারী মুখোশ পরিহিত ডাকাত দলের ছয় সদস্য প্রবেশ করে। ডাকাত দলের সদস্যরা ভবনটির দ্বিতীয় তলার উত্তর দিকের গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে কাউছার আহম্মেদ পলাশের প্রথম স্ত্রী, মা ও বোনসহ পরিবারের অপর সদস্যদের মারধর হাত-মুখ বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে। এ সময় পলাশ বাড়িতে ছিল না। ডাকাত দলের সদস্যরা প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সেখানে অবস্থান করে প্রতিটি রুমে তল্লাশি করে আলমারি, ওয়ারড্রপ ভেঙে বাসায় থাকা এক হাজার ৫০০ ডলার, ১২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ পাচঁ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) এস এম জহিরুল ইসলাম জানান, শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী ছয় ডাকাত বাড়ির দ্বিতীয় তলার গ্রিল কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত- মুখ বেধে একটি রুমে আটকে রাখে। পরবর্তীতে বাড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় তলার প্রতিটি রুমে তল্লাশী করে ঘরে থাকা ১৫ শ ডলার, নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ১২০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় এক রাউন্ড গুলিও করে। তবে এ বিষয়ে (গুলি করা) এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ মিলেনি। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।