০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

টঙ্গিবাড়ীতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী কারাগারে

টঙ্গিবাড়ীতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী কারাগারে - ছবি : নয়া দিগন্ত

উপজেলার কামারখাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার তিন আসামিকে বাড়িতে পেলেও একজনকে আটক করে বাকি দুই আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আসামি দীপ্ত রায়কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে বিকেল ৩টার দিকে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত ৪-এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাসিনা হোসেন তুষি।

মামলার বাদি শ্রী কৃষ্ণ সরকার নিজেই পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন।

ভুক্তভোগী শ্রী কৃষ্ণ সরকার বলেন, আমার মেয়ে স্বর্ণা রায়কে যৌতুকের জন্য শরীরে আগুন দিয়ে মেরে ফেলে ওর স্বামীর বাড়ির লোকজন। আমি এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ নারী শিশু আদালতে মামলা করলে পুলিশ দির্ঘদিন হলেও আসামিদের ধরছিল না। পরে আমিসহ আমার ৩ আত্মীয় বুধবার (২ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে পুলিশ নিয়ে আসামিদের ধরতে তাদের বাড়িতে যাই। বাড়িতে গিয়ে মামলার তিন আসামী দীপ্ত রায়, ঝর্ণা রায় ও দিলীপ রায়কে বাড়িতে পাই। আমি পুলিশকে আসামিদের দেখিয়ে চলে আসি। কিন্তু পরে টঙ্গিবাড়ী থানা এসআই লিপন সরকার এক আসামি দীপ্ত রায়কে ধরে থানায় আনলেও বাকি দুই আসামিকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে। পরে আমি বিষয়টি জানতে পেরে এসআই লিপন সরকারকে দুই আসামি রেখে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামি দিলীপ রায় অসুস্থ ও তার স্ত্রী ঝর্ণা রায় মহিলা হওয়ায় মহিলা পুলিশ আমাদের সাথে না থাকায় তাদের ছেড়ে দিয়ে এসেছি।

এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানা পুলিশের অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক এসআই লিপন সরকার বলেন, আমি আসামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক আসামিকেই পেয়েছি। বাকি কোনো আসামি পাইনি।

তিনি আরো বলেন, মামলার প্রধান আসামি দীপ্ত রায়কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালে ৮ সেপ্টেম্বর টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির দিলিপ রায়ের ছেলে দিপ্ত রায় একই গ্রামে কৃষ্ণ সরকারের মেয়ে স্বর্না রায়কে পরিবারের অমতে জোড়পূর্বক বিয়ে করে। দিপ্ত রায় এলাকায় ভবুঘুরে ও বিভিন্ন নেশা করে বেড়াত। বিয়ের কিছু দিন পর হতেই দিপ্ত ও তার মা ঝর্ণা রানি রায় স্বর্ণাকে বাবা বাড়ি হতে যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ ও মারধর করতে থাকে। স্বর্ণা বিষয়টি তার পরিবার ও আত্নীয় স্বজনকে একাধিকবার জানায়। পরে ৩০ জুলাই সকালে যৌতুকে দাবিতে স্বর্ণাকে মারধর করে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী ও শাশুড়ি। স্বর্ণা আগুনে গুরুতর দগ্ধ হলে স্বর্ণার আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সেখা হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করলে সেখানে এক মাস ১৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। এ ঘটনায় নিহত স্বর্ণার বাবা গত ১৯ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করে।


আরো সংবাদ



premium cement