২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত

জ্বালাপোড়া আর যন্ত্রণায় এখনো কাতরান রেজাউল মুন্সি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

রেজাউল মুন্সি (৪৪)। পেশায় একজন সাধারণ কবিরাজ। কবিরাজি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। এক ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে সংসার। মেয়ে একজন বিয়ে দিয়েছেন বাকি দুইজন বাসায় থাকে। স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়েই বসবাস করেন তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বেশ কয়েকদিন আগে কোটা আন্দোলন চলাকালে পুলিশের রাবার বোলেটের গুলি আর টিয়ার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ রেজাউল মুন্সি এখন জ্বালা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ঠিক মতো ওষুধ কিনতে পারছেন না।

আহত রেজাউল মুন্সি গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার গবিন্দপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি ঢাকার আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকার নাসিরের ভাড়া বাড়িতে থেকে কবিরাজি করে থাকেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত রেজাউল মুন্সি জানান, ‘কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি মনের তাড়নায় আশুলিয়া থেকে যাত্রাবাড়ি এলাকায় গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। তার সাথে আরো অনেকেই সেদিন আন্দোলনে যোগদান করে। আন্দোলন চলাকালে তিনি অপরিচিত কয়েকজনের সাথেই ছিলেন। এ সময় হঠাৎ পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। পরে একটা গুলি তার পায়ের গুড়ালিতে এসে বিদ্ধ হয় এবং কাদানে গ্যাসের কৌটা এসে তার দুই পায়ের পিছনে পড়লে তার পাঞ্জাবি এবং পায়জামাতে আগুন ধরে যায়। পরে দুই পায়ের রানের চিপায় ডান পায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

রেজাউল মুন্সি আরো বলেন, ‘ওই দিন আহত হয়ে বেশ কিছু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে কেউ চিকিৎসা করেনি। পরে পায়ে হেটে অতি কষ্টে আশুলিয়ার জিরানী বাজার এসে বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তার সাথে অপরিচিত আরেকটি ছেলের ওই দিন পায়ে গুলি লাগে। তার অবস্থা পরে কি হয়েছে বলতে পারেননি। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ। তবে পায়ের যন্ত্রণা এবং জ্বালাপোড়া তাকে ভীষণ ভোগাচ্ছে। এরই মধ্যে ওষুধ কেনা বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। দিনে যেমন তেমন ভালোই থাকেন তিনি, কিন্তু রাত হলেই যন্ত্রণায় কাতরাতে হয়। ঘুমাতে পারেন না।’

রেজাউল করিম ওই দিনের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে বলেন, আহত অবস্থায় এলাকায় এলে স্থানীয়রা তাকে নানান ধরনের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। পুলিশের ভয় দেখান অনেকেই। অনেকটা লুকিয়েই চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, যেদিন ৫ আগস্ট দেশ দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন হলো ওই দিনের মতো ভালো কোনো দিন লাগেনি। অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করেছিল। কারণ তিনি যেদিন আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, সেদিন নিশ্চিত মৃত্যুকে হাতে নিয়েই যোগ দিয়েছিলেন।

বর্তমানে অনেকটা কষ্টেই দিন কাটাচ্ছেন রেজাউল মুন্সী। কবিরাজি করে যে যা দেয় তা দিয়েই চলেন তিনি। ওষুধ কেনারও টাকা মাঝে মধ্যে থাকে না।


আরো সংবাদ



premium cement
জুলাই-আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার রাজনীতি সূচনা করবে ছাত্রদল ফলো-অনের শঙ্কায় বাংলাদেশ রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ সাবেক খতিব ফিরে আসাকে ঘিরে বায়তুল মোকাররমে উত্তেজনা আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ জনে বন্যার্তদের জন্য ২০ কোটি টাকার বেশি ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ সংগ্রহ বিএনপির কেন দেশে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, আইনে এর শাস্তি কী? কেরানীগঞ্জে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ২ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে জেল হাজতে প্রেরণ

সকল