মালয়েশিয়ায় পেরিকাতান ন্যাশনাল সরকার ভেঙে পড়বে
- ফারাহ মাসুম
- ১৯ মার্চ ২০২০, ০০:০০
মালয়েশিয়ায় বেরাসাতুর নেতৃত্বে মালয় দলগুলোর সরকার গঠনের অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারে প্রতিনিধিত্ব নিয়ে অন্তঃকলহ শুরু হয়েছে। এই অন্তঃকলহ চলতে থাকলে আগামী মে মাসের আস্থাভোটে জয়ী হওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে মুহিউদ্দিন সরকারের জন্য। এ অবস্থায় হয় আবার বিরোধী পাকাতান হারাপান সরকার গঠনের সুযোগ পেতে পারে। না হয় নতুন করে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন রাজা। তবে দেশটির রাজনীতিতে প্রতিদিন যেসব উন্নয়ন ঘটছে তাতে নিশ্চিত করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না শেষ পর্যন্ত কী হতে যাচ্ছে। তুন মাহাথির নিজেই তার কথাবার্তায় স্থির থাকছেন না। মাহাথির পাকাতান হারাপান জোটের চেয়ারম্যান কি না আনোয়ারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই প্রশ্ন তুনকেই করতে বলেন।
মে ২০১৮ এর সাধারণ নির্বাচনে ২২২ সংসদীয় আসনের মধ্যে কেবল ১৩ টিতে জয়লাভ করেছিল ড. মাহাথিরের নেতৃত্বাধীন বেরাসাতু। তখন এই দলের প্রধান মাহাথিরকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল ওয়ান আজিজাহ ওয়ান ইসমাইল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ৯৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে আবার প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেয়াতে। ৫০টি সংসদীয় আসন লাভকারী পাকাতান হারাপান জোটের বৃহত্তম দল পিকেআরের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে ওয়ান আজিজাহকে পূর্ববর্তী রাজা সুলতান পঞ্চম মুহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আজিজাহ রাজার কাছে এর পরিবর্তে মাহাথিরকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় মাহাথির প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দেয়ার কারণে আজিজাহ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় আরেকটি প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল যে, মাহাথির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং দুই বছর পর ওয়ান আজিজাহর স্বামী আনোয়ার ইব্রাহিম এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। অবশ্য ওয়ান আজিজাহ তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেও মাহাথির ওয়াদা রক্ষা করেননি। মাহাথির নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি আনোয়ারের কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি কখনো পালন করেননি।
সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অভ্যুত্থান মালয় রাজনীতিকে এক করুণ স্তরে নিয়ে গেছে। ক্ষমতার লোভ লালসা মালয়েশিয়ায় এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে কোনো লাল রেখা নেই যা ক্ষমতার জন্য অতিক্রম করা যায় না। মাহাথির নিজেই এর প্রমাণে পরিণত হয়েছেন।
মাহাথির হারাপানের পতনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন?
মাহাথিরের দল বেরাসাতু সমর্থন প্রত্যাহারের কারণে পাকাতান হারাপান সরকারের পতন ঘটে। আর বেরাসাতুর সভাপতি মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের নেতৃত্বে উমনো ও পাসকে সাথে নিয়ে নতুন কোয়ালিশন সরকার গঠন করা হয়েছে। মাহাথির প্রথম দিকে এ জন্য মুহিউদ্দিনকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করলেও এখন সুর অনেকখানি নামিয়ে এনে বলছেন, বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর মতো সংসদ সদস্যের সমর্থন বিরোধী পক্ষের নেই। আর এর মধ্যে তিনি বেরাসাতু দলের নতুন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আর ছেলে মুখরিজ মাহাথির এই দলের সভাপতি পদে মুহিউদ্দিনের বিপরীতে প্রার্থী হওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। মাহাথিরের কথাবার্তার অর্থ বোঝা কঠিন হলেও তিনি নতুন সরকারের সাথে একটি সমঝোতার দিকে যাচ্ছেন বলে মনে হয়। যার ফলে তিনি আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বলছেন, আনোয়ার লিবারেল হওয়ায় মালয়রা তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে চাইছেন না।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা পোস্ট এবং জাপানের নিকেকেই এশিয়ান রিভিউর সাথে তার সর্বশেষ সাক্ষাৎকারটিতে মাহাথিরের দেয়া বক্তব্যে প্রমাণিত যে, তিনি প্রকৃতই পাকাতান সরকারের পতনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। মাহাথির বলছেন, তার দলের সবাই এখন মুহিউদ্দিনের সরকারকে সমর্থন করছেন। আবার এও বলছেন তিনি বর্তমান মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কোনো ভুল-ত্রুটির কারণে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে তিনি আবারো দেশকে নেতৃত্ব দিতে রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন ঘটাবেন। তার এই মন্তব্যে মনে হয়, তিনি নিজে ক্ষমতায় বসার ভাবনা বাদ দেননি, সেটি না হলে নিজ পুত্র মুখরিজকে ক্ষমতার বলয়ে আনার জন্য আবার রাজনৈতিক ভূমিকায় আসতে চান। আর তার এই ভূমিকার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন তার সরকারকে অনুমোদন দানের আহ্বান জানানোর মাধ্যমে।
এর আগে মাহাথির মুহিউদ্দিনকে বিশ্বাসঘাতক বলার পর ক্ষমা প্রার্থনা করে নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠান। পরে মাহাথির সরকারের প্রতি অনাস্থার পরিকল্পনা থেকে সম্ভবত সরে আসেন এবং বলেন, অনাস্থার পরিকল্পনা সম্ভবত ব্যর্থ হবে। এমনকি তিনি এও বলেছিলেন যে, পঞ্চদশ সাধারণ নির্বাচন অবধি মুহিউদ্দিন টিকে থাকবেন। এটাই মুহিউদ্দিনের সরকারের ওপর তার অনুমোদনের মোহর বলে মনে হয়।
একজন পরাজিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদনের জন্য একজন স্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান এবং তাতে সাড়া প্রদানের মধ্য দিয়ে মাহাথির আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে এই সরকারের গডফাদার হিসেবেই প্রমাণ করেছেন বলে মনে হয়। এর অর্থ হতে পারে মুহিউদ্দিন আসলে কেবল মাহাথিরের প্রক্সি। আর মাহাথিরকে খুশি করার জন্যই প্রবীণ উমনো নেতাদের বাদ দিয়ে মুহিউদ্দিন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। আর এর উল্টো দিকে উমনোর প্রবীণ নেতাদের অনেকে সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন প্রকাশ্যেই।
পেরিকাতান ন্যাশনাল ভেঙে পড়ছে?
উমনো নেতাদের এই সমালোচনার কারণে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে নবগঠিত পেরিকাতান ন্যাশনালের ব্যাকডোর সরকার ভেঙে পড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন যতক্ষণ না ১১৪ সংসদ সদস্যের সবাইকে মন্ত্রী করার বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করতে রাজি হচ্ছেন ততক্ষণ এ সরকারকে আস্থা ভোটে জেতানো কঠিন হতে পারে। ক্রিসমাসের আগেই এই সরকার ভেঙে পড়বে বলেও মন্তব্য করা হচ্ছে।
আজালিনা ওসমান, বুং মোক্তার, তাজুদ্দিন আবদুল রহমান ও শাহরির সামাদ প্রমুখ প্রবীণ উমনো নেতা মন্ত্রিত্ব বরাদ্দের ব্যাপারে উমনোর প্রতি অন্যায়ভাবে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ নর্ডিন ঘোষণা করেছেন যে, তথাকথিত ‘মালয়-কেবল’ সরকার তার কাজে নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি কোনোটাই রক্ষা করেনি।
খালেদ প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, উমনোর ৪২ জন (এমসিএর দুইজন সংসদ সদস্য এবং এমআইসির একজন সংসদ সদস্যসহ) এমপি রয়েছে। এই দল বেরাসাতু বা প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ কোনো দল নয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, উমনো এবং ইসলামপন্থী দল পাস (১৮ জন সংসদ সদস্য) এর সমর্থন ছাড়া মুহিউদ্দিন সরকারই গঠন করতে পারতেন না। অথচ উমনো নেতাদের সরকারের প্রাপ্য দায়িত্ব দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে যেখানে সরকারের সাথে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন যারা ঘৃণ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িত। তিনি স্পষ্টতই আজমিন আলীর সমকামী সেক্স ভিডিও ক্লিপের কথাই বলতে চেয়েছেন। এই বিব্রতকর কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও, মুহিউদ্দিন ইয়াসিন আজমিন আলিকে চারজন সিনিয়র মন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ পদ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরো ঘোষণা করেন যে, চার সিনিয়র মন্ত্রী সবাই ‘সমান’, কিন্তু যখনই তিনি উপস্থিত থাকবেন না তখন মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন আজমিন আলি। এই বার্তাটি উমনোকে দেয়ার অর্থই ছিল যে কেলেঙ্কারি-জর্জরিত আজমিন হলেন ডিফেক্টো উপ-প্রধানমন্ত্রী। এটি উমনোর কাছে এক বড় ধরনের অপমান ছিল। চারজন সিনিয়র মন্ত্রীর মধ্যে দুইজনই বেরাসাতুুর আর একজন হলেন উমনোর অন্যজন সারওয়াকের আঞ্চলিক দল জিপিএসর।
মন্ত্রিত্ব বঞ্চিত উমনো নেতারা এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে, তারা নিক গির সাথে প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনের বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ও টেনে এনেছেন। ২০১৭ সালে, উমনো সমর্থক আজওয়ান্দদিন হামজাহ সাবেক ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর স্ট্যানলি ক্লিমেন্ট অগাস্টিনের স্ত্রী নিক গি সিউ ইয়ের সাথে মুহিউদ্দিনের অনাহূত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। নতুন সরকারের সমালোচনাকারীর দলে আকার ইঙ্গিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকও যোগ দিয়েছেন। নাজিব রাজ্জাক এবং জাহিদ হামিদি হারাপান সরকারের কর্মকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শুরু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কার কাকে বেশি প্রয়োজন?
উমনো জানত যে, বেরাসাতুর দরকার উমনোর। তবে তার চেয়েও বেশি উমনোর দরকার বেরাসাতুর। উমনো সরকারের ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ চায়। প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন যদি তাদের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে না পারেন তবে তারা নির্বাচনে দুর্দান্ত জয়লাভ করবেন এই বিশ্বাসের কারণে তাৎক্ষণিক নির্বাচনে বাধ্য করার উপায় খুঁজে দেখবেন।
এ দিকে মাহাথির কয়েক দিন আগে বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন নতুন মন্ত্রিসভার ‘প্রায় মালে-কেন্দ্রিক’ হওয়ার কারণে আগামী সাধারণ নির্বাচনে চীনা ও ভারতীয় সম্প্রদায় পেরিকাতান ন্যাশনাল সরকারকে ভোট দেবে না। তিনি প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনকে একটি বার্তা পাঠাতে চেয়েছিলেন যে, সংখ্যালঘুরা তাদের মূল্যবান সম্পদ হতে পারে সুতরাং তাদের উপেক্ষা করা যাবে না। এটা বলার পেছনে উমনোর সাথে বেরাসাতুর সম্ভাব্য টানাপড়েন সক্রিয় থাকতে পারে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করে সাবেক সহযোগী ডিএপির প্রশংসা করে বলেন যে, তাদের ব্যাপারে সব নেতিবাচক ধারণা ইচ্ছা করেই তৈরি করা হয়েছিল। মাহাথিরের ডিএপির প্রশংসাও কারণহীন বলে মনে হয় না। পাকাতান হারাপান সরকার ভেঙে যাওয়ার পরে ডিএপি অসাধারণভাবে শান্ত রয়েছে। এটি হতে পারে যে তারা এখনো তাদের ক্ষত কাটানোর চেষ্টা করছে। তবে এর অর্থ এও হতে পারে যে, এই নীরবতার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। যদি উমনো হঠাৎ করে ক্ষমতা ভাগাভাগির সূত্রে জোট ছেড়ে দেয়, তাহলে মুহিউদ্দিনের সরকারের অবশ্যই পতন হবে। তারপর মুহিউদ্দিন কি পদত্যাগ করবেন এবং দেশব্যাপী নির্বাচনে যাওয়ার ঝুঁঁকি নেবেন? প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি আগাম নির্বাচন পছন্দ করেন না। তার ৩০টি সংসদ সদস্যের ক্ষুদ্র দলটিতে ১৯ জন সংসদ সদস্যের নিজস্ব পুলের মধ্যে ১৩ জন সাবেক ইউএমএনও সংসদ সদস্য রয়েছেন। অন্য কথায়, ২০১৩ সালের ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী আসল ১৩ জন বেরাসাতু সংসদ সদস্যের মধ্যে মহিউদ্দিন কেবল ছয় এমপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এতে সম্ভবত এই ব্যাখ্যা করেছে যে, মাহাথির কেন মহিউদ্দিনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তাকে চীন ও ভারতীয় ভোটারদের কাছে টানা প্রয়োজন। বেরাসাতুর মাহাথির অনুগত ছয়জন সংসদ সদস্য, সাবাহ-ভিত্তিক ওয়ারিশানের ৯ সংসদ সদস্য এবং ডিএপির ৪২ এমপির সমর্থন নিয়ে উমনো এমপিদের আকস্মিকভাবে প্রস্থান করার পরও আরেকটি সরকার গঠনের চিন্তা করা যেতে পারে। তারপরেও, উমনোর এমপি যারা মন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী হয়েছেন তারাও ব্লক ছাড়ার আদেশ অমান্য করতে পারেন। মাহাথির আশা করছেন, ডিএপি ব্যাকআপ বা রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে।
দুই নৌকায় পা রেখে মাহাথির কিভাবে তার বাজিটি খেলবেন তা দেখার জন্য হয়তো কারো বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। তিনি আশা করেন, মুহিউদ্দিনের ‘মালে প্রথম’ চিত্রটি ব্যবহার করে বেরাসাতু পার্টি একটি প্রভাবশালী মালে পার্টি হয়ে উঠতে পারে। একই সাথে ডিএপির ওপর নির্ভর করে বিকল্প ব্যবস্থা সাজানো যেতে পারে। মাহাথির এই বয়সেও বিশ্বাস করেন তিনি হলেন, কিংমেকার, যিনি যে দিকেই ইচ্ছা তার প্রভাবকে দুলিয়ে রাখতে পারেন। দরকার হলে শতায়ু নাগাদ রাষ্ট্রের হাল ধরে রাখতে পারেন। তবে আপাতত চুপচাপ আনোয়ারের নিজস্ব কোনো হিসাব রয়েছে বলে মনে হয়। হ