২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দিভরিগির বড় মসজিদ ও হাসপাতাল

-

দিভরিগির বড় মসজিদ ও হাসপাতাল ১৩ শতকের তুর্কি স্থাপত্য ও প্রকৌশল বিদ্যার অপূর্ব নিদর্শন। প্রতিদিন অনেক মানুষ এ নিদর্শন পরিদর্শনে আসেন।
১৯৮৫ সালে অনন্য এই স্থাপনা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়।
দিভরিগির বড় মসজিদ ও হাসপাতাল তুরস্কের পুরাকীর্তি। পূর্ব আনাতোলীয় পর্বতের ছোট শহর দিভরিগিতে এ পুরাকীর্তির অবস্থান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পুরাকীর্তিটি তোপকাপি প্রাসাদের মূল্যবান সম্পদের গোপন ভান্ডার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি আনাতোলিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন পরস্পর সম্পর্কিত অংশ নিয়ে গঠিত স্থাপনা (কমপ্লেক্স)। এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছিল ১২২৮-১২২৯ সালে সালে। আহমদ শাহের আদেশে এটি নির্মাণ করা হয়। তিনি ছিলেন সেনগুচেকের বেলিক এলাকার শাসক।

দিভরিগির বড় মসজিদ ও হাসপাতাল আধুনিক শহরের দক্ষিণে নগরদুর্গের একটি মঞ্চে দেখা যায়। এ কমপ্লেক্স নির্মাণের সময় শহরের বেশির ভাগ অংশ সম্ভবত নগরদুর্গের দেয়ালের অভ্যন্তরে ছিল। মসজিদ ও হাসপাতাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে হালকা হলদে পাথর কেটে। এটি সুনির্মিত ও সুন্দর অলঙ্করণকৃত। দূর থেকে দৃষ্টিনন্দন মিহরাবের ওপরের ছাদের গম্বুজকে মনে হয় অষ্ট-চোঙ্গাকৃতির। মসজিদের মধ্য ভাগে রয়েছে ঝাড়বাতি। উত্তর-দক্ষিণ অক্ষের ওপর মসজিদ ও হাসপাতাল ভবন স্থাপন করা হয়েছে। আঙিনার পরিবর্তে মসজিদের চার দিকে রয়েছে পাঁচটি চলাচল পথ। দু’টি গম্বুজ মসজিদকে করেছে আকর্ষণীয়; একটি মসজিদের মধ্যভাগে, অপরটি মিহরাবের ওপর। কমপ্লেক্সের দক্ষিণ অংশে হাসপাতাল। এর প্রবেশ পথে রয়েছে একটি ছোট দরজা। এটি খিলানাকৃতির সুদৃশ্য দ্বারমণ্ডপে স্থাপন করা হয়েছে। এর অবস্থান পশ্চিম দেয়ালে। মসজিদটি বড়। এর কারুকাজ হাসপাতালের চেয়ে কম পরিমার্জিত। তবে উভয়টিরই খোদাইকাজ সুবিন্যস্ত ও জাঁকালো। মসিজদের পশ্চিম ও উত্তরে দু’টি দ্বারমণ্ডপ রয়েছে। এ দু’টির নির্মাণশৈলী অনবদ্য। পূর্ব দিকেও একটি দ্বারম-প ছিল। এটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেলজুক ঘরানায়। বর্তমানে এটি জানালায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement