চন্দ্রবোড়া কী
- মো: আবদুস সালিম
- ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০৩:২৪
আজকাল চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার (Russell's viper) বেশ আলোচিত বিষয়। এ সাপের বিস্তার লাভের খবর জানা যাচ্ছে নানা মাধ্যমে। এদের লেজ ছোট ও সরু হলেও শরীর সেই তুলনায় মোটা। দেহ এক মিটার থেকে দেড় মিটার লম্বা হয়। মাথা ত্রিভুজ আকার ও চ্যাপ্টা। থুতনি গোলাকার ও ভোঁতা। মাথা ঘাড় থেকে কিছুটা উঁচুতে। শরীরে অজগরের মতো দাগ থাকায় অনেকে ভুল করে অজগর ভাবে চন্দ্রবোড়াকে। এদের বেশি দেখা যায় পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানে এদের বিচরণ বেশি। এক সময়ে এটি পরিচিত ছিল বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের সাপ হিসেবে। এরপর তা রাজশাহী থেকে ছড়িয়ে পড়ে হাতিয়া, ভোলা, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুরসহ আরো কিছু স্থানে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণীর তালিকায় স্থান পায় এটি। ভারতে স্থান পায় মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায়।
রাসেলস ভাইপার নিচু জমির শুষ্ক ঘাসযুক্ত জায়গায় বসবাস করতে বেশি পছন্দ করে। বন বা ঝোপঝাড়েও ওদের দেখা মেলে। এদেরকে স্থলের সাপ বলেই মনে করা হয়। এ সাপ খাদ্য হিসেবে বেশি পছন্দ করে টিকটিকি, গিরগিটি, ব্যাঙ, পাখি, ইঁদুর ইত্যাদি। খাদ্য সংকট দেখা দিলে অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে।
চন্দ্রবোড়া হিস্ হিস্ শব্দ করে আত্মরক্ষার জন্য। অনেক সময় এরা মানুষকে কামড়ায়। সাপ ডিম পাড়ে শোনা গেলেও চন্দ্রবোড়া বাচ্চা দেয়। সরাসরি বাচ্চা হওয়া সাপেরা বেশি শক্তিশালী হয়। এদের প্রজনন বেশি হয় জুন-জুলাইয়ে। বড় সাপের পাশাপাশি ছোটদের দাঁতেও বিষ থাকে। এরাও দংশনে পটু। সাপের দংশনের শিকার হলে আক্রান্ত অনেককে ওঝা বা সাপুড়ের কাছে নেওয়া হয়। আসলে এটা সেকেলে ধ্যানধারণা। সাপেকাটা রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিষধর সাপের তালিকায় নেই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। বরং কেউটে, কোবরা বা গোখরো ইত্যাদির কামড়ে প্রচুর মানুষ মারা যায়। দেশে সাপ আছে প্রায় ১০০ প্রজাতির। এর মধ্যে প্রায় ১২ প্রজাতি বিষধর। সাপের কামড় থেকে বাঁচতে আমাদের সাবধান হতে হবে। সাপসহ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতি আমাদের নমনীয় হতে হবে। কেননা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের গুরুত্ব আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা